ছাত্র ভর্তিতে অনিয়মের অভিযোগ তুলে অধ্যক্ষের কাছে বিক্ষোভ দেখাতে যাচ্ছিলেন ডিএসও-র কয়েকজন সমর্থক। অভিযোগ, অধ্যক্ষের কাছে যেতে বাধা দিয়ে তাঁদের মারধর করেছে টিএমসিপি। শুক্রবার দুপুরে পাঁশকুড়া বনমালী কলেজের ঘটনায় দুই ডিএসও সমর্থক গুরুতর জখম হয়েছেন বলে খবর। তাঁরা জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে টিএমসিপি।
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশিকা অনুযায়ী বনমালী কলেজেও প্রথম বর্ষের ছাত্র ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদনপত্র জমা নেওয়া হয়েছিল। তারপর মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। প্রথম ধাপে ভর্তির জন্য তৃতীয় তালিকা প্রকাশ করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেই তালিকার ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হওয়ার পরেও বিভিন্ন বিভাগে শূন্য আসনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানেও কাউন্সেলিং হওয়ার কথা।
সেই অনুযায়ী শুক্রবার দশটি বিষয়ের আবেদনকারীদের ডাকা হয়েছিল। প্রায় এক হাজারের বেশি পড়ুয়া কাউন্সেলিংয়ে এসেছিল। ডিএসও নেতৃত্বের অভিযোগ, এ দিন যে শূন্য আসনের তালিকা প্রকাশ করেছে কলেজ, তা প্রকৃত শূন্য আসনের চেয়ে কম। আসলে ওই শূন্য আসনে বেনিয়মের সম্ভবনা জিইয়ে রাখছে কলেজ কর্তৃপক্ষই। ডিএসও জেলা সহ-সভাপতি দীপঙ্কর মাইতির অভিযোগ, ‘‘এ দিন অধ্যক্ষের অফিসে প্রতিবাদ জানাতে গিয়েছিলেন আমাদের সংগঠনের সদস্য-সমর্থকরা। সে সময়েই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা-কর্মীরা এসে লাঠি দিয়ে তাঁদের মারধর করেছে। আমাদের সাতজন সমর্থক জখম।’’
ডিএসও নেতৃত্বের এই অভিযোগ অস্বীকার করে পাঁশকুড়া কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা সাহারুল আলি খান বলেন, ‘‘প্রথম বর্ষের জন্য প্রকাশিত তালিকায় কম আসন দেখানোর অভিযোগ ভিত্তিহীন। ডিএসও সমর্থকদের উপর আক্রমণের অভিযোগও মিথ্যা। নিয়ম মেনেই কাউন্সেলিং হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, এ দিন ওই ডিএসও সদস্যদের সঙ্গে কিছু ছাত্রছাত্রীর ঝামেলা হয়েছিল। তবে তাতে কেউ জখম হননি। অধ্যক্ষ নন্দন ভট্টাচার্যও কোনও মন্তব্য করতে চাননি এ দিনের ঘটনা নিয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy