নিয়মমাফিক পুজো শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু জগদ্ধাত্রীর মণ্ডপে ভিড় ফুরোচ্ছে না। মঙ্গলবার, একাদশীর সন্ধেতেও মেদিনীপুরের পঞ্চুরচকের মণ্ডপের ঠাসা ভিড়। অলিগঞ্জের ছবিও দেখেও বোঝা ভার মায়ের এ বার বিদায়ের পালা।
অগ্নিকন্যা ক্লাবের উদ্যোগে পঞ্চুরচকে জগদ্ধাত্রী পুজো হয়। পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী বলছিলেন, “এদিনও অনেকে প্যান্ডেলে এসেছেন। প্যান্ডেলের ভিড় দেখে বোঝার উপায় ছিল না দিনটা নবমী না একাদশী!” শুধু পঞ্চুরচক কিংবা অলিগঞ্জ নয়, সিপাইবাজার থেকে কর্ণেলগোলা, বটতলাচক থেকে মিরবাজার- একাদশীর দিনেও ভিড় হয়েছে সর্বত্র। বিকেল হতে ঠাকুর দেখা শুরু হয়। সন্ধ্যা হতে ভিড় জমতে শুরু করে প্যান্ডেলে, প্যান্ডেলে। পুজোর শেষ গন্ধটুকু যে চেটেপুটে নিতে হবে! একাদশীর এই ভিড়ের একটা কারণ বৃষ্টি। বৃষ্টির জেরে অনেকেই নবমীতে বেরোতে পারেননি। ওই দিন শহর-শহরতলিতে বৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ বেরিয়েও হাতেগোনা কয়েকটি ঠাকুর দেখে বাড়ি ফিরেছেন। দশমীর সন্ধ্যায় ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন নমিতা সামন্ত। নমিতাদেবীর কথায়, “শুনেছিলাম, মেদিনীপুরে এ বার ভাল পুজো হচ্ছে। তাই বেরিয়ে পড়ি। বেশ কয়েকটা মণ্ডপে গিয়েছি। আলোকসজ্জা বেশ ভাল লেগেছে। প্রতিমার সাজও নজরকাড়া ছিল।”
প্রায় সব জগদ্ধাত্রী পুজোতেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। দশমীর সন্ধ্যায় ক্ষুদিরামনগরের আবির্ভাব ক্লাবের জগদ্ধাত্রী পুজোর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে। অলিগঞ্জে, কর্নেলগোলার নবীন-প্রবীণ সম্প্রদায়ের পুজোতেও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে।