চৈতন্যপুরের সভায় বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। আরিফ ইকবাল খানের তোলা ছবি।
পুলিশের ওপর আস্থা হারানোর ফলে মানুষ লাঠি হাতে তুলে নিচ্ছে, প্রতিহিংসা পরায়ণ হচ্ছে।বৃ হস্পতিবার সন্ধ্যায় সুতাহাটার চৈতন্যপুরে বিজেপি সরকারের এক বছর পুর্তি উপলক্ষ্য আয়োজিত দলীয় সভায় একথা জানান বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়না বলে তিনি অভিযোগ তুলেছেন। শাসনের গণধর্ষণ কাণ্ডের সমালোচনা করে রূপাদেবী বলেন, ‘‘ শিশুর কপালে বন্দুক ধরে গণধর্ষণ করা হচ্ছে। এই অপরাধীদের কারা তৈরি করেছে?’’ তিনি প্রশ্ন করেন, ‘‘এই অসভ্যতা কবে শেষ হবে।’’ পরে তিনি তার উত্তর দেন, ‘‘যত তাড়াতাড়ি তৃণমূল ক্ষমতা থেকে যাবে তত তাড়াতাড়ি রাজ্যের মানুষের উপকার হবে।’’
আসানসোলের হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে বিজেপির অফিসে আগুন দেওয়ার বিষয়ে রূপাদেবী বলেন, ‘‘বাবুল এবং আমাদের সেখানকার সভাপতি ঠিক কথাই বলেছেন। বিজেপি করেন এমন কেউ বিজেপির অফিসে আগুন দিতে পারেন না। হকার উচ্ছদের বিষয়টি সরকারের কাজ। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই।’’
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় সঙ্গে শাসক দলের সুসম্পর্ক থাকার কারনেই কি দলীয় কর্মীরা আসানসোলের বিজেপি অফিসে হামলা চালিয়েছে? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে রূপাদেবী বলেন, ‘‘আপনারা যা ভাবছেন তা নয়। দলীয় কর্মীরা দলের মত কাজ করবেন। মন্ত্রীরা মন্ত্রীর মতো। মন্ত্রীরা সর্ব সাধারণের জন্য কাজ করবেন। রাজ্য বিজেপি যথেষ্ট শক্তিশালী। রাজ্য বিজেপি কোনও নেতার দিকে তাকিয়ে নেই।’’
এ দিন সন্ধ্যায় চৈতন্যপুরে বিজেপির সভাতে রূপাদেবী ছাড়াও হাজির ছিলেন বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি বাদশা আলম, বিজেপির জেলা সভাপতি তপন কর প্রমুখ নেতারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy