Advertisement
১৯ মে ২০২৪

রাতে উধাও বাস, ভোগান্তি

সন্ধে সাতটা নাগাদ দাঁতনগামী একটি বাস খড়্গপুর দিয়ে যাতায়াত করলেও অধিকাংশ দিন সেই বাস স্ট্যান্ডে আসে না। ফলে বাসের জন্য স্ট্যান্ডে অপেক্ষারত যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হন। বছর কয়েক আগে রোজ রাত ৯টায় খড়্গপুর থেকে একটি বাস পরিষেবা চালু হয়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

দেবমাল্য বাগচী
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৭ ০২:৩৩
Share: Save:

সন্ধে নামলেই খড়্গপুরের রাস্তা থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে বাস। বন্ধ হয়েছে রাতের শেষ বাস পরিষেবাও। স্ট্যান্ডে গিয়েও ভুগতে হচ্ছে যাত্রীদের। অনেক খুঁজে ভাড়া গাড়ি মিললেও ভাড়ার চোটে ওঠা দায়।

খড়্গপুর স্টেশনে লোকাল ট্রেন থেকে নেমে বহু লোক বাস ধরতে স্ট্যান্ডে যান। মাস কয়েক আগেও রাত পর্যন্ত নারায়ণগড়, বেনাপুর, দিঘা রুটের বাস ছাড়ত স্ট্যান্ড থেকে। আর এখন সন্ধে সাতটার পরে খড়্গপুর থেকে দিঘাগামী বাস পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ।

সন্ধে সাতটা নাগাদ দাঁতনগামী একটি বাস খড়্গপুর দিয়ে যাতায়াত করলেও অধিকাংশ দিন সেই বাস স্ট্যান্ডে আসে না। ফলে বাসের জন্য স্ট্যান্ডে অপেক্ষারত যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হন। বছর কয়েক আগে রোজ রাত ৯টায় খড়্গপুর থেকে একটি বাস পরিষেবা চালু হয়। মাস দেড়েক আগে সেই পরিষেবাও বন্ধ হয়ে যায়। বাস না পেয়ে অনেকেই ভাড়া গাড়ির খোঁজ শুরু করেন। যে দূরত্ব বাসে যেতে ৬-৭ টাকা লাগে, সেটাই ভাড়া গাড়িতে যেতে দু’শো-তিনশো টাকা গুনতে হয় বলে অভিযোগ। যাদের এই টাকা দেওয়ার সামর্থ্য নেই, তাঁদের অনেকে খড়্গপুর রেলস্টেশনেই রাত্রিবাস করেন। রাতে হাওড়া থেকে শেষ লোকাল ট্রেনে যাঁরা খড়্গপুর স্টেশনে নামেন, তাঁদের অবস্থা আরও খারাপ।

দিন কয়েক আগে একই অবস্থা হয়েছিল এগরার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ মহাপাত্রের। সন্ধেবেলায় খড়্গপুর স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে রাত আটটা নাগাদ স্ট্যান্ডে ইটাবেড়িয়ার বাস ধরতে যান বিশ্বজিৎবাবু। স্ট্যান্ডে গিয়ে তিনি শোনেন, মাস দেড়েক আগে ওই বাস পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অগত্যা এগরা যাওয়ার আর কোনও গাড়ি না পেয়ে খড়্গপুর স্টেশনেই রাত কাটান তিনি। শহরের কৌশল্যার বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক ফাল্গুনীরঞ্জন রাজও বলছেন, “সন্ধে সাড়ে ৬টার পরে শহর থেকে দিঘা যাওয়ার কোনও বাস নেই। ট্রেনও নেই। ফলে কোনও প্রয়োজন হলেও সকালের বাসের অপেক্ষা করা ছাড়া গতি নেই।”

এ বিষয়ে বাস যাত্রী সুরক্ষা কমিটির কর্মী কৃষ্ণা রাও বলেন, “রাতে কাজ সেরে বেনাপুরে বাড়ি ফিরতে দেরি হয়। মাস দেড়েক আগে থেকে রাতের শেষ বাস পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছি।” যাত্রীদের কথা ভেবে কেন ফের বাস পরিষেবা চালু করছে না প্রশাসন? খড়্গপুরের মহকুমাশাসক সুদীপ সরকার বলেন, “অভিযোগ এলে নিশ্চয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE