Advertisement
E-Paper

পেয়াদা- ঠেঙাড়ে রুখবে মানুষই

এক সময়ের ‘লাল-গড়’-এ এসে জেলার প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষকেই নিশানা করলেন সিপিএম সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কটাক্ষ, “ভারতী ঘোষ আর এ জেলার পুলিশ সুপার নন, এটা ঠিক। তবে তাঁর পেয়াদারা তো আছেন!”

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৬ ০১:৩৫
কেশপুরের পথে এগোচ্ছে মিছিল। —নিজস্ব চিত্র।

কেশপুরের পথে এগোচ্ছে মিছিল। —নিজস্ব চিত্র।

এক সময়ের ‘লাল-গড়’-এ এসে জেলার প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষকেই নিশানা করলেন সিপিএম সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কটাক্ষ, “ভারতী ঘোষ আর এ জেলার পুলিশ সুপার নন, এটা ঠিক। তবে তাঁর পেয়াদারা তো আছেন!”

দিন দুই আগে নেড়াদেউলে এক সিপিএম কর্মী আক্রান্ত হন। তাঁকে দলীয় কার্যালয়ের মধ্যে থেকে তুলে এনে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় নাম জড়ায় তৃণমূলের লোকেদের। এর আগে আনন্দপুরে দলীয় কার্যালয় খুলেও তৃণমূলের হুমকির মুখে পড়েন সিপিএম কর্মীরা। কিন্তু জোট-সাহসে ভর করে একের পর এক বন্ধ দলীয় কার্যালয়ের তালা খুলছে সিপিএম। তবে কেশপুরে দলের বহু কার্যালয় এখনও বন্ধ। তৃণমূলের সন্ত্রাসের জেরেই সেগুলো খোলা যাচ্ছে না বলে দাবি সিপিএমের। তাদের আরও অভিযোগ, তৃণমূলের যোগ্য দোসর পুলিশ।

এই পরিস্থিতিতে অনেকেই যোগ দিয়েছিলেন বামেদের প্রতিবাদ মিছিলে। তৃণমূলের হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবারই কেশপুরে মিছিল করে সিপিএম। কংগ্রেসও যোগ দেয়। জোনাল কার্যালয় জামশেদ ভবনের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়। বিডিও অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন তাঁরা। কর্মী সমর্থকরা মিছিলে যোগ দেওয়ায় স্পষ্টই অভিনন্দন জানান বাম নেতারা।

এ দিনের কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন সিপিএম সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, কেশপুরের সিপিএম প্রার্থী রামেশ্বর দোলুই, কেশপুর জোনাল সম্পাদক মানিক সেনগুপ্ত প্রমুখ। সেখানেই ঋতব্রত বলেন, “এ রাজ্যে ভারতী ঘোষকে কেউ পুলিশ মনে করেন না। তৃণমূলের পেয়াদা মনে করেন। তৃণমূলের রক্তচক্ষু, ভারতী ঘোষের পেয়াদাদের চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে যে মানুষ এখানে এসেছেন আমি তাদের অভিনন্দন জানাই।” তিনি দলীয় কর্মীদের আশ্বাস দেন কেশপুরে তৃণমূলের অত্যাচারের কথা জানাতে তিনি দিল্লি যাবেন। এই পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচন সম্ভব নয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে ঋতব্রত বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আপনার পেয়াদা, ঠেঙাড়েদের এগিয়ে দিচ্ছেন। এই ভাবে আক্রমণ করে মানুষকে রোখা যায়নি। এই আক্রমণ নতুন কিছু নয়। কেশপুরের মাটিতে তা অন্য চেহারা নিয়েছে। এই সংগ্রামী মাটির ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াই আছে।”

বুধবার বাঁকুড়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন গত কয়েকদিনে তৃণমূলের নয় কর্মী খুন হয়ে গিয়েছেন। ঋতব্রতর কটাক্ষ ওই কর্মীরা মারা গিয়েছেন নিজেদের মধ্যে লড়াই করেই, ‘‘এ তৃণমূলের সঙ্গে তৃণমূলের লড়াই।” হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বলছেন ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে হিসেব বুঝে নেবেন। মানুষ যদি ভোট দিতে পারে তাহলে বাংলার মানুষ আপনাকে বুঝিয়ে দেবে যে কত ইঞ্চিতে কত ইঞ্চি হয়!”

বিধানসভা ভোট ঘোষণার পর থেকে কেশপুর সদরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। এ দিন অবশ্য ভয় ভেঙে অনেকেই এসেছিলেন লাল পতাকা হাতে নিয়ে।

Ritabrata Banerjee police election
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy