বর্ষার শুরু থেকেই বন্যা মোকাবিলায় তৈরি হচ্ছে ঘাটাল মহকুমা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই বিডিওদের কাছে নির্দেশ এসেছে সব রকম ভাবে প্রস্তুত থাকতে। ক’দিন আগেই মহকুমার সমস্ত স্তরের প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একটি বৈঠক হয়। সেখানেই বিভাগীয় আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহকুমাশাসক পিনাকী রঞ্জন প্রধান।
প্রশাসন সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ঘাটালে এসে পৌঁছেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের উদ্ধারকারী দল। ঘাটাল শহরে বিদ্যাসাগর হাইস্কুলে ৪৬ জন উদ্ধারকারি দল (এনডিআরএফ)-এর প্রতিনিধিরা ক্যাম্প করে রয়েছেন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে একাধিক নদীবাঁধ সংস্কারের কাজ। দুর্বল বাঁধগুলিকে চিহ্নিত করার কাজও চলছে। ওই সব এলাকায় বালির বস্তা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী মজুত রাখতে সেচ দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন মহকুমাশাসক।
ঘাটাল প্রশাসন এ বার প্রথমেই এনডিআরএফ-এর প্রতিনিধিদের বন্যা প্রবণ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করিয়ে দিতে চাইছে। যাতে ভৌগলিক অবস্থান সমন্ধে তাঁদের ধারণা তৈরি হয়। এ বার অবশ্য ঘাটালের মূল সড়কগুলিতে উড়ালপুল এবং ভেন্টেড কজওয়ে তৈরি হয়েছে। ফলে বাসিন্দারা আশাবাদী, সামান্য বৃষ্টি হলেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হবে না। তবে বড় বন্যার আশঙ্কা করে নৌকোর বন্দোবস্ত রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পূর্ত দফতর এবং বিভিন্ন পঞ্চায়েতকে।
মহকুমা ত্রাণ দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই ঘাটালের পাঁচটি ব্লকের ৪৮ টি পঞ্চায়েতে ত্রিপল পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে। চাল, শুকনো খাবার, ডায়েরিয়া এবং এআরভি-সহ অন্য ওষুধ মজুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরকেও সতর্ক করা হয়েছে। স্কুল এবং ফ্লাড সেল্টারগুলিতে বিকল্প আলোর ব্যবস্থা ও সমস্ত ধরণের ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ তৈরির কাজও শুরু হয়েছে।