গুলি-কাণ্ডে সোমবার রাত পর্যন্ত কাউকে ধরতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে। কেন শহরে এ ভাবে গুলি চালানো হল, সেই নিয়েও ধন্দে পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়ার আশ্বাস, ‘‘তদন্তে সবদিক দেখা হচ্ছে।’’
রবিবার সরস্বতী পুজো ছিল। বিকেলেই সিপাইবাজারের অদূরে গুলি চলে। রাজাবাজারের দিক থেকে সিপাইবাজারের দিকে একটি রাস্তা চলে গিয়েছে। স্থানীয়রা পুলিশকে জানিয়েছেন, একটি বাইকে দুই যুবক ছিল। বাইকটি দ্রুত গতিতে রাজাবাজারের দিক থেকে সিপাইবাজারের দিকে চলে যায়। বাইকে থাকা এক যুবকই কয়েকবার গুলি ছোড়ে।
মেদিনীপুর শহরে যে এই প্রথম প্রকাশ্যে গুলি চলল তা নয়। তবে আগে গুলি চলেছে সন্ধ্যায় বা রাতে। আর এ ক্ষেত্রে গুলি চলেছে বিকেলে। মেদিনীপুরের এক পুলিশকর্তার স্বীকারোক্তি, ‘‘কাউকে লক্ষ করে নয়, শূন্যে গুলি ছোড়া হয়েছে। বিষয়টি ভাবাচ্ছে।’’ পুলিশের এক সূত্রে খবর, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বিকেলে দুই যুবক বাইকে দ্রুত গতিতে চলে যাচ্ছে। এক যুবকের হাতে পিস্তলও রয়েছে। পুলিশের এক সূত্রে খবর, দু’জনের মধ্যে একজনকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই তার নাম প্রকাশ্যে আনছে না পুলিশ। এই যুবকের বিরুদ্ধে আগেও দুষ্কর্মের অভিযোগ রয়েছে। তার সঙ্গীর নাম- পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
এ দিন মেদিনীপুর শহর, শহরতলি-সহ জেলার কিছু এলাকায় তল্লাশি চলেছে। পুলিশ মনে করছে, দুষ্কৃতীরা শহরের বাইরে গা ঢাকা দিয়েছে। মেদিনীপুরের এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘একজনের নাম জানা গিয়েছে। ও ধরা পড়লে ওর কাছ থেকেই আরেকজনের নাম জানা যাবে। আমরা এখন ওই একজনেরই বেশি খোঁজ করছি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘আগেও দুষ্কর্ম করে ও এ ভাবে গা ঢাকা দিয়ে থাকার চেষ্টা করেছে। তবে বেশিদিন পারেনি।’’ মেদিনীপুরের ওই পুলিশ কর্তা বলেন, ‘‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এলাকায় ভয়ভীতির পরিবেশ তৈরি করাই উদ্দেশ্য ছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy