প্রতীকী ছবি।
তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের মারধর, ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন, গাড়ি ভাঙচুর, অপহরণ ও সশস্ত্র জমায়েতের ঘটনায় ছয় বিজেপি কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাস্থল পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি।
ধৃতদের মধ্যে পঞ্চানন সিংহের বিরুদ্ধে পুরনো ডাকাতির মামলাও রয়েছে। বাকিরা হলেন সুকুমার পাল, বিনোদ পাতর, প্রবোধ পাতর, ধীরেন সিংহ ও সঞ্জীব খিলাড়। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার ধৃতদের মেদিনীপুর আদালতে তোলা হলে ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়।
গত ২৮ আগস্ট পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন নিয়ে অশান্ত হয় কেশিয়াড়ি। অঞ্চল অফিসে আসার সময় গাড়ি থেকে নামিয়ে তৃণমূলের সাত পঞ্চায়েত সদস্যকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। ভাঙচুর করা হয়েছিল গাড়িটিও।
অভিযোগ ছিল, সে দিন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জমায়েত করে বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা তৃণমূল সদস্যদের বাধা দেয়। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী ঘটনাস্থলে এসে অবস্থা সামলান।
সে দিন তৃণমূলের মনোনীত প্রধান ইন্দ্রাণী দে-সহ অন্যদের অপহরণ করারও অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। ইন্দ্রাণী আসতে না পারায় প্রধান নির্বাচন আর হয়নি। তবে বিজেপি সদস্য উপপ্রধান নির্বাচিত হয়েছেন।
দলীয় কর্মীদের গ্রেফতারের পরে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ করছে বিজেপি।
ব্লকের বিজেপি দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতি সনাতন দোলাই বলেন, ‘‘মাদের কেউ কাউকে অপহরণ করেনি। ওঁরা নিজেরাই এলাকা ছেড়ে ভয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। পুলিশ আমাদের কর্মীদের গ্রেফতার করে ঠিক করেনি।’’ তৃণমূলের ব্লক সভাপতি পবিত্র শীট অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy