E-Paper

কবর খুঁড়ে উদ্ধার শিশুকন্যার দেহ, জিজ্ঞাসাবাদ বাবা-মাকে

ঘাটাল শহরের পীরতলায় ভাড়াবাড়িতে মেয়েকে নিয়ে থাকতেন ওই দম্পতি। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, কয়েকদিন ধরে ওই শিশুকন্যা জ্বরে ভুগছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২৪ ০৮:৫৬
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

১১ মাসের শিশুকন্যার মৃত্যুর পরে বাড়ি থেকে এক-দেড় কিলোমিটার দূরে শিলাবতী নদীর পাড়ে তার দেহ পুঁতে দিয়ে এসেছিল খোদ বাবা-মা, অভিযোগ এমনই। চারদিন পরে কবর খুঁড়ে সেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠাল পুলিশ।

ঘাটাল শহরের গোবিন্দপুরে ওই দেহ উদ্ধারের পরে আলোড়ন পড়েছে।বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে।ওই শিশুকন্যার বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার তদন্তে নেমেছে ঘাটাল থানার পুলিশ।

ঘাটাল শহরের পীরতলায় ভাড়াবাড়িতে মেয়েকে নিয়ে থাকতেন ওই দম্পতি। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, কয়েকদিন ধরে ওই শিশুকন্যা জ্বরে ভুগছিল। গ্রামীণ চিকিৎসকের কাছে ওষুধ এনে তার চিকিৎসা চলছিল। তারপর আচমকা মেয়েটি মারা যায়। দিন চারেক আগে তার মৃত্যুর পরে শিলাবতীর পাড়ে গোবিন্দপুর স্লুইস গেটের কাছে মাটি খুঁড়ে দেহ পুঁতে দেয় বাবা-মা। বিষয়টি জানাজানি হতেই সন্দেহ হয় পড়শিদের। জানা গিয়েছে, ওই শিশুকন্যার সারা শরীরে কালো কালো দাগ ছিল।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। পীরতলা এলাকায় গিয়ে খোঁজখবর নেয়। এরপরই বুধবার গোবিন্দপুরে নদীর তীরে পৌঁছয় যায় পুলিশ। এলাকায় যান ঘাটালের মহকুমা পুলিশ অফিসার অনিমেষ সিংহ রায়, ঘাটাল থানার ওসি শঙ্খ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। তারপর মাটি খুঁড়ে শিশুটির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। জেলা পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। বাবা-মাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই বিষয়টি পরিষ্কার হবে।”

পুলিশ তদন্তে জেনেছে, ওই দম্পতির কয়েক বছর আগে বিয়ে হয়েছিল।তাদের বাড়ি দাসপুরের নাড়াজোলে। মহিলার এটি দ্বিতীয় বিয়ে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় প্রথম স্বামীর সঙ্গে তাঁর ছাড়াছাড়ি হয়। তবে দ্বিতীয় বিয়ের পরে পারিবারিক গোলমালের কারণে ওই দম্পতি তামিলনাড়ুতে চলে গিয়েছিল।সেখানেই ওই শিশুকন্যার জন্ম হয়েছিল। তারপর কয়েক মাস আগে তাঁরা ফিরে আসেন। আর নাড়াজোলে না গিয়ে ঘাটাল শহরের পীরতলায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, কী ভাবে ওই শিশুকন্যার মৃত্যু হল, এ ক্ষেত্রে তার বাবা-মায়ের ভূমিকাই বা কী, সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

ghatal

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy