Advertisement
E-Paper

বিজেপি নেত্রীকে হেনস্থায় অভিযুক্ত পুলিশ

সুষমার অভিযোগ, গত ৩১ অক্টোবর দুপুর তিনটে নাগাদ ময়না থানার ওসি মহিউল ইসলাম-সহ পাঁচ, ছ’জন পুলিশ তাঁর বাড়িতে গিয়ে স্বামীর খোঁজ করেন। ওই সময় সুষমার স্বামী উত্তম মণ্ডল বাড়িতে ছিলেন না বলে দাবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৮ ০৭:০০

পুলিশের উপরে হামলার ঘটনায় অভিযুক্তের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়েছিল পুলিশ। সেই তল্লাশির সময় অভিযুক্তের স্ত্রী তথা পঞ্চায়েত সদস্যাকে মারধর এবং হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে ময়না থানার ওসির বিরুদ্ধে। ময়নার বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদিবেনিয়া গ্রামের ওই বিজেপি সদস্যা সুষমা বর্মণ মণ্ডল এ নিয়ে শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার এবং জেলা শাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।

সুষমার অভিযোগ, গত ৩১ অক্টোবর দুপুর তিনটে নাগাদ ময়না থানার ওসি মহিউল ইসলাম-সহ পাঁচ, ছ’জন পুলিশ তাঁর বাড়িতে গিয়ে স্বামীর খোঁজ করেন। ওই সময় সুষমার স্বামী উত্তম মণ্ডল বাড়িতে ছিলেন না বলে দাবি। কী কারণে পুলিশ তাঁর খোঁজ করছে, তা জানতে চাইলে ওই পুলিশ আধিকারিক সুষমার চুলের মুঠি ধরে কিল, চড় মারেন বলে অভিযোগ। সুষমা অভিযোগের চিঠিতে জানিয়েছেন, তাঁকে মাটিতে ফেলে প্রায় বিবস্ত্র করে পেটে লাথি মারা হয় এবং তাঁর গালি দেওয়া হয়। সুষমার দাবি, সম্প্রতি তিনি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এই অবস্থায় মারধরের ফলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

পুলিশ বাড়িতে তল্লাশির নামে সব জিনিসপত্র তছনছ করে তাঁর স্বামীর ট্রাউজার্সের পকেটে থাকা সাড়ে ৬ হাজার টাকা নিয়ে চলে যায় বলেও দাবি করেছেন সুষমাদেবী। এ ব্যাপারে বিজেপি’র তমলুক জেলা সম্পাদক নীলাঞ্জন অধিকারী বলেন, ‘‘বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যেই গোলমাল হচ্ছে। কিন্তু ওই ঘটনায় বিজেপি নেতা-কর্মীদের জড়িয়ে পুলিশ মিথ্যা মামলা দায়ের করে অত্যাচার চালাচ্ছে। সুষমাদেবীর উপরে নির্মমভাবে অত্যাচার চালানো হয়েছে।’’

যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ময়নার ওসি মহিউল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ অফিসারকে হামলার ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত হল সুষমাদবীর স্বামী উত্তম। নিয়ম মেনেই ওই অভিযুক্তের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। সুষমাদেবীকে মারধর বা হেনস্থার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।’’

উল্লেখ্য, গত ২৪ সেপ্টেম্বর বাকচা পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচনে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দল থামাতে গিয়ে নন্দকুমারের সার্কেল ইনস্পেক্টর এবং এক সিভিক ভলান্টিয়ার জখন হন।

পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানার জন্য ফোন করা হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরে জেলা পুলিশ সুপার ভি সলোমোন নেসাকুমারকে। তিনি এ ব্যাপারে বলেন, ‘‘উনি আমাকে সরাসরি অভিযোগপত্র দেননি। হয়তো অফিসে জমা দিয়েছেন। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’

Molestation BJP Police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy