এখানেই দখলের চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। — নিজস্ব চিত্র।
ফের সরকারি জায়গা জবরদখলের চেষ্টা হল মেদিনীপুরে। বৃহস্পতিবার শহরের নিবেদিতাপল্লিতে ফাঁকা সরকারি জমিতে বাঁশ পুঁতে, দড়ি দিয়ে ঘিরে, ত্রিপল টাঙিয়ে দখলের চেষ্টা হয়। ঘটনা জেনেই প্রশাসন ও পুরসভা পুলিশকে জানায়। পুলিশ গিয়ে জবর দখলকারীদের হঠিয়ে দেয়।
বছর তিনেক আগেও ওই জমি দখলের চেষ্টা হয়েছিল। তখনও পুলিশ দখলকারীদের হঠিয়ে দিয়েছিল। পুনরায় যাতে কেউ জমি দখল করতে না পারে সে জন্য বসানো হয়েছিল পুলিশ ক্যাম্পও। এক বছর হতে চলল সেই ক্যাম্প সরে গিয়েছে। তারপরই ফের একই ঘটনা। বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ করেই একদল ব্যক্তি বাঁশ পুঁতে, দড়ি দিয়ে নিজেদের সীমানা চিহ্নিত করে দেন বলে অভিযোগ। দু’একদিন পরে ওখানেই ঝুপড়ি বানিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল বলে প্রশাসন সূত্রে জানাগিয়েছে। মেদিনীপুরের পুরপ্রধান প্রণব বসু বলেন, “সরকারি জায়গা এ ভাবে দখল করা যায় না।” মেদিনীপুরের মহকুমাশাসক দীণনারায়ণ ঘোষ বলেন, “জবরদখলের কথা জানতে পেরেই পদক্ষেপ করা হয়েছে। জবরদখলকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
ডাকবাংলো রোড দিয়ে কাঁসাই নদী যাওয়ার পথে পড়ে নিবেদিতাপল্লি। সেখানে জেলা শিল্প কেন্দ্রের ঠিক উল্টোদিকে বেশ কয়েক একর সরকারি জমি পড়ে রয়েছে। পাকা রাস্তা থেকে রেললাইন পর্যন্ত জমিটি আগাছায় ভরা এবড়ো-খেবড়ো। কিন্তু কোনও পাঁচিল নেই। সেই জমিটিই জবরখলের চেষ্টা হয়। রাস্তার ধারে থাকা জমিটির বাজার মূল্য অনেক। তাই জবরদখলকারীদের পিছনে কারও মদত রয়েছে কিনা তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ ও প্রশাসন। জবরদখলকারীদের বক্তব্য, “আমরা গরিব মানুষ। ভাড়া ঘরে থাকি। সরকারি জমিতে বসলে ক্ষতি কী?” পুরসভা জানিয়েছে, ওই জমিতে পানীয় জল সরবরাহের জন্য জলাধার তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে পুরসভার। ভবিষ্যতে কোনও সরকারি অফিসও তৈরি করা যেতে পারে। তাই ওই জমিতে কাউকে বসতে দেওয়া হবে না। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে এ ভাবে জমিটি খালি ফেলে রাখা হয়েছে কেন। কেন সীমানা পাঁচিল দেওয়া হয়নি? প্রশাসন জানিয়েছে, জমিটি পুরসভার নাকি খাস, নাকি কোনও দফতরের তা খতিয়ে দেখা হবে। তারপরই পাঁচিলের ব্যবস্থা করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy