Advertisement
E-Paper

৩৫ কিলোমিটার পথ পেরোতে আড়াই মাস!

৩৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে ডাক বিভাগের ৮০ দিন সময় লেগে যাওয়ায় হতবাক কমিটির লোকজন।

দিগন্ত মান্না

শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০১৯ ০১:৪২
 দেরিতে পৌঁছনো সেই চিঠি।

দেরিতে পৌঁছনো সেই চিঠি।

ডাক বিভাগের পরিষেবা নিয়ে গ্রাহকদের অভিযোগের অন্ত নেই। ইন্টারনেটের যুগে ডাক মাধ্যমে চিঠি চালাচালি একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। তবে সরকারি ক্ষেত্রে চিঠি পাঠানোয় এখনও ডাক বিভাগেই উপরেই নির্ভরতা বেশি।

গত জানুয়ারি মাসে কোলাঘাটের বৃন্দাবনচক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চাপদায় চাষের জমি দখল করে ভেড়ি তৈরির অভিযোগ ওঠে। ভেড়ি মালিকদের হাত থেকে নিজের জমি বাঁচাতে এলাকার কৃষকরা গড়ে তোলেন চাপদা মাছের ঝিল বিরোধী কৃষক সংগ্রাম কমিটি। এই কমিটির আন্দোলনে তখন সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায় ভেড়ি তৈরির কাজ। ১৫ জানুয়ারি কমিটির সভাপতি অশোক নায়েকের ভাইয়ের হোসিয়ারি কারখানায় আগুন লাগে। ভেড়ি তৈরিতে বাধা দেওয়ায় ভেড়ি নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা এই ঘটনার পিছনে রয়েছে, এই মর্মে পাঁশকুড়া থানায় লিখিত অভিযোগও করেন অশোকবাবু।

কিন্তু পুলিশি হস্তক্ষেপের পরেও বন্ধ হয়নি ভেড়ি তৈরির কাজ। অগত্যা ঘটনার বিহিত চেয়ে ১৭ জানুয়ারি তৎকালীন জেলাশাসক রশ্মি কমলকে চিঠি লিখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আর্জি জানান কমিটির সম্পাদক তপন কর। তপনবাবুর দাবি, গত ১৮ এপ্রিল তিনি জেলাশাসকের অফিস থেকে একটি চিঠি পান যা তাঁর ঠিকানায় পোস্ট করা হয়েছিল ২৯ জানুয়ারি। চিঠিতে তপনবাবুকে জানানো হয় জেলাশাসক জেলার পুলিশ সুপারকে বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করতে বলেছেন। এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রায় আড়াই মাস পর হাতে পাওয়ায় হতবাক কমিটির সম্পাদক সহ বাকিরা।

তমলুক শহর থেকে কোলাঘাটের চাপদার দূরত্ব ৩৫ কিলোমিটার। অথচ এই ৩৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে ডাক বিভাগের ৮০ দিন সময় লেগে যাওয়ায় হতবাক কমিটির লোকজন। এলাকার মানুযের বক্তব্য, সরকারি গুরুত্বপূর্ণ চিঠি পোঁছতে যদি এত সময় লাগে, তা হলে ডাক বিভাগের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের চিঠি আদান প্রদানের হাল কী তা বোঝাই যাচ্ছে।

কিন্তু কার গাফিলতিতে চিঠি পোঁছতে এতদিন সময় লাগল?

তপনবাবু বলেন, ‘‘ডাক বিভাগের ভূমিকায় আমরা হতবাক। এত টুকু দূরত্বে চিঠি পৌঁছতে ৮০ দিন লেগে গেল! চিঠিটি আগে পেলে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে পারতাম। ভোট থাকায় বিষয়টি নিয়ে কোনও অভিযোগ করার সুযোগ পাইনি। তবে এবার ডাক বিভাগে অভিযোগ জানাব।’’ ডাক বিভাগের তমলুকের সুপারিন্টেন্ডেন্ট আর এস কর্মকার বলেন, ‘‘বিষয়টি সম্পর্কে কিছু জানি না। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখব।’’

Post Office Police Kolaghat
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy