Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Post Mortem

খড়্গপুরকাণ্ডে দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্ত, কবর খুঁড়ে ছাত্রের দেহ আনতে অসমে রাজ্যের পুলিশ

গত বছর ১৪ অক্টোবর খড়্গপুর আইআইটি-র হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার হয় অসমের বাসিন্দা ফাইজ়ানের ঝুলন্ত দেহ। তিনি বিটেক মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

An image of the boy

খড়্গপুর আইআইটি মৃত ছাত্র ফাইজ়ান আহমেদের দেহের দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। ফাইল ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২১ মে ২০২৩ ২৩:৩৬
Share: Save:

খড়্গপুর আইআইটি মৃত ছাত্র ফাইজ়ান আহমেদের দেহের দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। সেই নির্দেশ মেনে কবর থেকে দেহ উদ্ধারের জন্য রবিবার অসম গেল খড়গপুর পুলিশের একটি তদন্তকারী দল।

গত বছর ১৪ অক্টোবর খড়্গপুর আইআইটি-র হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার হয় অসমের বাসিন্দা ফাইজ়ানের ঝুলন্ত দেহ। তিনি বিটেক মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। ফাইজ়ানের পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে খুন করা হয়েছে। এ নিয়ে হাই কোর্টে যান তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। ফাইজ়ান আত্মহত্যা করেছেন না কি তাঁকে খুন করা হয়েছে— তা খতিয়ে দেখতে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে তৈরি করা হয় বিশেষজ্ঞ কমিটি। সেই কমিটির রিপোর্টে উঠে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই ছাত্রের মাথার পিছনে ভারী কোনও জিনিস দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। তার চিহ্নও পাওয়া গিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। ওই বিশেষজ্ঞ কমিটি দাবি করেছে, পুলিশের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আঘাত লাগার বিষয়টি ছিল না।

এর পরেই গত মাসে উচ্চ আদালতের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ফাইজ়ানের দেহের দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিচারপতির নির্দেশ ছিল, ওই ঘটনার তদন্তকারী অফিসার আবার ময়নাতদন্তের জন্য ফাইজ়ানের দেহ নিয়ে আসবেন কলকাতায়। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে হবে দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্ত। এর আগে যে চিকিৎসক ময়নাতদন্ত করেছিলেন, তাঁকেও উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আগামী ৩০ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগে রবিবার অসমে গেল রাজ্যের পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE