বাড়িতে কেউ অসুস্থ হলেই ভয় করে। কী করে চিকিৎসা হবে! দু’বেলা খাওয়ার খরচ জোগাতেই যে নাভিশ্বাস ওঠে। এর মধ্যে ছেলে আবার ভাল ফল করেছে মাধ্যমিকে। পড়তে চায় চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে। কী ভাবে জুটবে সেই পড়াশোনার খরচ, জানেন না কমলকান্তি দাস।
স্নাতকস্তরের পরে আর পড়তে পারেননি নিজে। চাকরিও জোটেনি। কোনও ক্রমে গৃহশিক্ষকতা করে সংসার চালান। কিন্তু ছেলেকে সুযোগটা দিতেই হবে। ছেলেও তেমনই জেদি। পরিবারের চিকিৎসা নিয়ে বাবার ভয়, তাই চিকিৎসকই হতে চায় কৌশিক। খড়্গপুর নিমপুরা আর্য বিদ্যাপীঠ থেকে এ বার মাধ্যমিকে সে ৫৭৫ নম্বর পেয়েছে।
তবে এই নম্বরে খুশি নয় সে, ‘‘আশা করেছিলাম ছ’শোর ওপর নম্বর থাকবে। ভূগোল আর ইংরাজিতে নম্বর কমে গিয়েছে। তবে যাই হোক পড়াশোনাটা চালিয়ে যেতেই হবে।’’ ফল প্রকাশের আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের পড়াশোনা। বিজ্ঞানের সিলেবাসে ভরসা স্কুল শিক্ষকদের দেওয়া বেশ কয়েকটি পাঠ্যবই। মাধ্যমিকে গৃহশিক্ষক ছিল না। স্কুল শিক্ষকদের কাছেই পড়াশোনা করেছে কৌশিক।
ছেলের ইচ্ছে পূরনের স্বপ্ন দেখেন মা-বাবাও। কমলকান্তিবাবু বলেন, “ছেলের স্বপ্ন পূরণ করতেই হবে। ধার-দেনা করে যে ভাবে হোক পড়াব। ঘরে আলো জ্বলার আগে অন্ধকার থাকে। তাই সে আলো জ্বালাতে প্রয়োজনে একবেলা খেয়ে কাটাব।