নন্দীগ্রামে পথ অবরোধ। নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর মিছিলে যোগদানকারীদের উপর হামলায় অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে। মঙ্গলবার শুভেন্দুর সভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের কালীচরণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভুতার মোড় সেই ঘটনা ঘটে। পরে ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। বুধবার রাত্রে অভিযুক্তদের খোঁজে গ্রামে যায় নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। তার পরই উত্তেজনা তৈরি হয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, অভিযুক্তদের ধরার নামে গভীর রাতে পুলিশ গ্রাম ঢুকে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে। একাধিক বাড়ির টালি ভাঙা হয়েছে। গোটা ঘটনায় চূড়ান্ত ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী। পুলিশের এমন ভূমিকার তীব্র প্রতিবাদ করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভুতার মোড়ে পথ অবরোধে শুরু করেন গ্রামবাসীরা।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রকৃত হামলাকারীদের চিহ্নিত না করেই গ্রামের একাধিক নিরীহ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ ভাবে পুলিশি অভিযান চললে জোরদার আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত ২০০৭ সালের ৩ জানুয়ারি এই ভুতার মোড়েই জমি অধিগ্রহণ বিরোধী মিছিলে পুলিশের গুলি চালনার অভিযোগ ঘিরে প্রথম ঝামেলা শুরু হয়।
স্থানীয় পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য আয়েব শা-র দাবি, অতীতে নন্দীগ্রামে হিন্দু মুসলিমে কোনও ভেদাভেদ ছিল না। এখন শুভেন্দু এসে এলাকায় হিন্দু-মুসলিম বিভাজন করতে চাইছেন। এরই প্রতিবাদে এলাকার মানুষ বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন। তাঁর আরও অভিযোগ, তৃণমূলকে কোণঠাসা করতেই পরিকল্পনা মাফিক পঞ্চায়েত সদস্য-সহ একাধিক তৃণমূল নেতার নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ১৭ জনই গ্রামছাড়া। কোনও অভিযুক্তকেই ধরা যায়নি। তাই নতুন কোনও গ্রেফতারের ঘটনা নেই। আর গ্রামে ঢুকে পুলিশের হামলার কোনও ঘটনা ঘটেনি বলেও জানানো হয়েছে জেলা পুলিশের তরফে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy