প্রতিবাদে আইআইটি পড়ুয়ারা। নিজস্ব চিত্র
জামিয়া মিলিয়ার ঘটনার পর পথে নেমেছিলেন তাঁরা। তবে সেটা ছিল নীরব প্রতিবাদ। এ বার জেএনইউ-এর ঘটনার প্রায় ৭২ ঘণ্টা পরে ফের তাঁরা পথে নামলেন। তবে এ বার আর নীরব প্রতিবাদ নয়। দেশ জুড়ে চলা ‘আজাদি’র স্লোগানেই প্রতিবাদে সামিল হলেন আইআইটি খড়্গপুরের পড়ুয়ারা।
বুধবার বিকেলে খড়্গপুর আইআইটির পড়ুয়ারা জেএনইউ-এর পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদে নামেন। এ দিন তাঁরা আইআইটির মূল গেটের বাইরে পুরীগেট এলাকায় পড়ুয়ারা জমায়েত হয়ে জেএনইউ-এর পড়ুয়াদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানান। শুরুর দিকে প্ল্যাকার্ড হাতেই চলছিল প্রতিবাদ। কোনও প্ল্যাকার্ডে লেখা ‘দড়ি ধরে মারো টান, রাজা হবে খান খান’। আবার কারও হাতে ‘এবিভিপি গো ব্যাক’ প্ল্যাকার্ড। যদিও এ দিনের এই প্রতিবাদ কর্মসূচিকে পুরোপুরি অরাজনৈতিক বলেই দাবি করেছেন পড়ুয়ারা। আইআইটি কর্তৃপক্ষের অনুমতি না থাকায় ক্যাম্পাসের বাইরে চলা এই প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
এ দিন আইআইটির পড়ুয়াদের কর্মসূচিতে অগ্রভাগে দেখা গিয়েছে গবেষক পড়ুয়াদের। তবে সামিল হয়েছিলেন বি-টেক পড়ুয়ারাও। এর আগে জামিয়া মিলিয়ায় পড়ুয়াদের ওপরে হামলা নিয়েও এই পুরীগেটেই মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌন প্রতিবাদে জমায়েত হয়েছিলেন আইআইটির পড়ুয়ারা। তবে এ দিন গানে-স্লোগানে সরব হতে দেখা গেল তাঁদের। বায়োটেকনোলজির গবেষক পড়ুয়া শাকিলুর রহমান বলেন, “জামিয়া মিলিয়া দিয়ে শুরু হয়েছিল। এর পরে জেএনইউ থেকে যাদবপুর পর্যন্ত চলেছে পড়ুয়াদের ওপর হামলা। পড়ুয়া হিসাবে আমরা অরাজনৈতিক ভাবে ওই আক্রান্ত পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়েছি।” জেএনইউ-এর ঘটনার পরে দিল্লি, কানপুর আইআইটিতে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। কিন্তু আইআইটির পড়ুয়াদের ৭২ ঘণ্টা পরে পথে নামার পিছনে কারণ কী? শাকিলুর বলেন, “আমরা আইআইটি কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চেয়েছিলাম। কর্তৃপক্ষ সাড়া না দেওয়ায় আমরা নিজেদের মতো করে বাইরে এসে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
প্রতিবাদে এ দিন কোনও বিশৃঙ্খলা হয়নি।পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীদের সামনেই ‘আজাদি’র দাবি তোলেন পড়ুয়ারা। কোন স্বাধীনতার দাবি? বি-টেকের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া অগ্নিমিত্র আনন্দ বলেন, “ছাত্রদের ওপর হামলা হয়েছে তাই আমরা পথে নেমেছি। আমরা কোনও ছাত্র সংগঠন নয়। নিজেদের মতো এই আন্দোলনে আমাদের নিজেদের স্বাধীনতা, কথা বলার স্বাধীনতা চাইছি।” যদিও এই প্রতিবাদ কর্মসূচি প্রসঙ্গে আইআইটির রেজিস্ট্রার ভৃগুনাথ সিংহ বলেন, “আমরা ক্যাম্পাসে এমন প্রতিবাদ কর্মসূচির অনুমতি দিতে পারি না। আমাদের ক্যাম্পাসে কোনও প্রতিবাদ কর্মসূচি হয়নি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy