অবরুদ্ধ: ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
রাস্তা পার হওয়ার সময় মঙ্গলবার খড়্গপুরের সাঁকোয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চকপুড়িয়া গ্রামে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে ট্রাকের ধাক্কায় জখম হন সাইকেল আরোহী প্রতাপ সেন। বুধবার ভোরে বছর আটচল্লিশের প্রতাপবাবুর মৃত্যু হলে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা জাতীয় স়়ড়ক অবরোধ করে। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, সারা বছর জাতীয় সড়কের পুলের নীচের রাস্তায় জল জমে থাকে। তাই স্থানীয়দের জাতীয় সড়ক পেরিয়েই যাতায়াত করতে হয়। আর তার জেরে প্রায়ই পড়তে হচ্ছে দুর্ঘটনার মুখে।
খড়্গপুর গ্রামীণের চকপুড়িয়ায় বেনাপুর-বাড়গোকুলপুর রাস্তার উপর দিয়ে গিয়েছে খড়্গপুর-ভুবনেশ্বর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের নীচে ওই রাস্তায় জল জমে থাকে। জল এড়াতে স্থানীয়রা জাতীয় সড়ক পেরিয়েই যাতায়াত করেন। ফলে হামেশাই ছোট-বড় দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। আগে বহুবার স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে জল জমার সমস্যা সমাধানের দাবি জানানো হয় বলে দাবি স্থানীয়দের। যদিও বিষয়টি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের অধীনে বলে পঞ্চায়েত দায় এড়িয়েছে বলে অভিযোগ।
বুধবার ভোরে প্রতাপবাবুর মৃত্যুর খবর চকপুড়িয়ায় পৌঁছতেই ক্ষুব্ধ জনতা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। এ দিনই শুরু হয়েছএ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। ব্যস্ত সময়ে রাস্তা অবরোধের জেরে সমস্যায় পড়ে পরীক্ষার্থীরাও। প্রায় ঘণ্টাখানেক অবরোধ চলার পরে খড়্গপুর গ্রামীণ থানার পুলিশ গিয়ে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
অবরোধকারী নিতাই ভুঁইয়া, বিমল সেন, ঝন্টু বেজরাদের অভিযোগ, ‘‘জাতীয় সড়কের পুলের নীচে প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনার রাস্তায় জল জমে থাকার সমস্যার কথা সর্বত্র জানিয়েছি। কিন্তু সুফল পাইনি।’’ তাঁদের কথায়, ‘‘পঞ্চায়েত ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ দায় ঠেলাঠেলি করা ছাড়া আর কিছুই করেননি। উদাসীনতার মাসুল হিসেবে একটি প্রাণ বলি হল। তাই বাধ্য হয়ে রাস্তা অবরোধ করেছি।”
এ দিন স্থানীয়দের একাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যলয়ে গিয়েও বিক্ষোভ দেখায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান বিষ্ণুপদ দাস। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ উঠে যায়। উপ-প্রধান বিষ্ণুপদবাবুর দাবি, ‘‘জাতীয় সড়কের পুলের নীচের অংশের রক্ষণাবেক্ষণে র দায়িত্ব জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের। তা সত্ত্বেও আমরা প্রতি বছর বর্ষায় রাস্তা সাময়িক মেরামতি করে দিই। কিন্তু তার পরেও জল জমে। বারবার জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদের কাছে আবেদন করেও সুফল পাচ্ছি না।”
এ বিষয়ে জাতীয় সড়ক মেরামতির দায়িত্বে থাকা সংস্থার এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার কে জগদীশ্বর রাও বলেন, “এখন যে সব কাজ চলছে তার মধ্যে ওই পুলের নীচের অংশের মেরামতির কাজের অনুমতি আমাদের কাছে নেই। এ জন্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের অনুমতি প্রয়োজন।” জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রকল্প অধিকর্তা বি কে বৈদ্য জানান, তিনি দিল্লিতে আছেন। বিষয়টি জেনে পদক্ষেপ করবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy