Advertisement
E-Paper

রিপোর্ট কার্ড প্রকাশেও অখিল 

এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে অখিল গিরি, অর্ধেন্দু মাইতি ও মধুরিমা মণ্ডল গত ১০ বছরে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের আমলে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরে রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:২১
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

সামনেই বিধানসভা ভোট। গত ১০ বছরে তারা রাজ্যবাসীর জন্য কী কী কাজ করেছে তার খতিয়ান তুলে ধরতে ‘রিপোর্ট কার্ড’ প্রকাশ করবে শাসক দল। সে জন্য বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রতিটি জেলায় সাংবাদিক বৈঠক ডাকার ব্যবস্থা করেছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুরে ওই বৈঠকের ক্ষেত্রে সুকৌশলে শুভেন্দুর ছায়া এড়িয়ে গেল তৃণমূল নেতৃত্ব। এমনকী বৈঠকে দেখা গেল না দলের জেলা সভাপতিকেও।

পূর্ব মেদিনীপুরে সাংবাদিক বৈঠকের জন্য প্রথমে জানানো হয়েছিল তমলুক শহরের মানিকতলায় সাংসদ কার্যালয়ে তা হবে। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার তরফে ওই খবর জানানোর পরে রাতেই বৈঠকের স্থান পরিবর্তন করে নিমতৌড়িতে ‘শিক্ষক ভবনে’ করার কথা জানানো হয়। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় নিমতৌড়িতে শিক্ষক ভবনে ওই সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অখিল গিরি ও অর্ধেন্দু মাইতি, জেলা তৃণমূল মুখপাত্র মধুরিমা মণ্ডল, জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি পার্থসারথি মাইতি উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু ছিলেন না জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা শুভেন্দুর পিতা শিশির অধিকারী এবং অন্যতম কো-অর্ডিনেটর আনন্দময় অধিকারী। এই ঘটনায় জেলা সভাপতির বদলে জেলায় তৃণমূলের অন্যতম কো-অর্ডিনেটর তথা রামনগরের বিধায়ক ও অধিকারী পরিবারের বিরোধী হিসাবে পরিচিত অখিল গিরিকে দল বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নও ঘোরাফেরা করতে শুরু করেছে তৃণমূলের অন্দরে।

এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে অখিল গিরি, অর্ধেন্দু মাইতি ও মধুরিমা মণ্ডল গত ১০ বছরে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের আমলে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরে রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করেন। এছাড়াও ১১ ডিসেম্বর থেকে জেলায় তৃণমূলের বঙ্গধ্বনি কর্মসূচি শুরুর বিষয়ে বিস্তারিত জানান। তবে জেলা সভাপতির অনুপস্থিতি নিয়ে মধুরিমা বলেন, ‘‘শিশিরবাবু অসুস্থ থাকায় এদিন সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি।’’ আনন্দময় আধিকারী বলেন, ‘‘আমি চিকিৎসার জন্য কয়েকদিন আগে হায়দরাবাদে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে আজ ফিরতে দেরি হওয়ায় সাংবাদিক বৈঠকে থাকতে পারিনি। দলীয় নেতৃত্বকে তা জানিয়েছি।’’

উল্লেখ্য, জেলা পরিষদে মৎস্য-প্রাণিসম্পদ কর্মাধ্যক্ষ পদে থাকা আনন্দময় শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। সম্প্রতি শুভেন্দুর একাধিক অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে তাঁকে দেখা গিয়েছে। দলের একাংশের দাবি, শুভেন্দুর সঙ্গে তৃণমূলের ‘দূরত্ব’ বাড়া ও তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে টানাপড়েন চলার কারণেই সাংবাদিক বৈঠকের স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। যদিও তা মানতে চাননি জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র তথা জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মধুরিমা মণ্ডল। তাঁর দাবি, ‘‘রিপোর্ট কার্ড’ প্রকাশের জন্য প্রথমে মানিকতলায় সাংসদ কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক ডাকা হয়েছিল ঠিকই। তবে ওখানে সব সাংবাদিক ও আমাদের দলীয় নেতৃত্বদের জন্য স্থান সংকুলান হবে না বলেই জায়গা বদল করে নিমতৌড়িতে শিক্ষক ভবনে করা হয়েছে। এর সঙ্গে অন্য কোনও বিষয় জড়িয়ে নেই।’’

Akhil Giri TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy