Advertisement
E-Paper

ভুরিভোজ থেকে ‘আড্ডা’, স্টেশন চত্বর গরুর দখলে

স্টেশনে ঢোকার মুখে হরেক দোকানের ভিড়ে ‘হোঁচট’ খেতেন নিত্যযাত্রীরা। প্রতিদিনের চেনা সেই ছবিটা বদলাতে সম্প্রতি পাঁশকুড়া স্টেশনে হয়েছিল উচ্ছেদ অভিযান। বর্তমানে স্টেশনে ঢোকার মুখে যাত্রীদের দোকানের ভিড়ে আর ধাক্কা খেতে না হলেও দেখা গিয়েছে অন্য সমস্যা।

 নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:১৫
পাঁশকুড়া স্টেশনে ঢোকার মুখে প্রতিদিনের ছবি। নিজস্ব চিত্র।

পাঁশকুড়া স্টেশনে ঢোকার মুখে প্রতিদিনের ছবি। নিজস্ব চিত্র।

স্টেশনে ঢোকার মুখে হরেক দোকানের ভিড়ে ‘হোঁচট’ খেতেন নিত্যযাত্রীরা। প্রতিদিনের চেনা সেই ছবিটা বদলাতে সম্প্রতি পাঁশকুড়া স্টেশনে হয়েছিল উচ্ছেদ অভিযান। বর্তমানে স্টেশনে ঢোকার মুখে যাত্রীদের দোকানের ভিড়ে আর ধাক্কা খেতে না হলেও দেখা গিয়েছে অন্য সমস্যা।

স্থানীয় সূত্রের খবর, পাঁশকুড়া স্টেশন ঢোকার মুখে বা টিকিট কাউন্টারের সামনে এখন আস্তনা গেড়েছে গরু আর ষাঁড়ের দল। আর তাদের ‘দাদাগিরি’র দাপটে নাজেহাল হচ্ছেন নিত্যযাত্রীরা। কেউ খাচ্ছেন শিঙের গুঁতো। আবার কেউ তাড়া খেয়ে ভারী ব্যাগপত্র নিয়েই দিচ্ছেন ছুট! সমস্যার সমাধান চেয়ে স্টেশন ম্যানেজারের কাছে ইতিমধ্যেই নালিশও জানিয়েছেন নিত্যযাত্রীদের অনেকে।

স্থানীয় সূত্রের খবর, কয়েক মাস আগেই স্টেশন চত্বরে উচ্ছেদ অভিযান চলে। তার পরে গোটা প্রবেশপথ চত্বরে রঙিন কংক্রিট ব্লক বসিয়ে ঝাঁ চকচকে করা হয়েছে। কিন্তু ওই ঝাঁ চকচকে এলাকাতেই এখন বর্তমানে গোবরের গন্ধে অতিষ্ঠ মানুষজন।

কিন্তু স্টেশনের প্রবেশপথেই গরুদের এহেন দাপাদাপি কেন?

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পাঁশকুড়া স্টেশন বাজার সংলগ্ন রাস্তার পাশে প্রতিদিন রাত থেকে সকাল পর্যন্ত বসে বিশাল আনাজ বাজার। সেই আনাজ বাজারে খাবারের টানেই প্রতিদিন ষাঁড় এবং গরু ভিড় জমায়। সকালে খাবার খেয়ে বিকেলে সূর্যের তেজ কমলে ওই গরুর দল হাজির হচ্ছে কাছেই থাকে স্টেশনের প্রবেশ পথ চত্বরে। এভাবে প্রতিদিন প্রায় ৪০টির বেশি গরু সেখানে জমায়েত হয়।

আর এই গরুরা আসে কোথা থেকে? স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, স্টেশনের আশেপাশের এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ ওই গরুর মালিক। তাঁরাই গরুদের ছেড়ে দেন স্টেশন সংলগ্ন আনাজ বাজারে।’’

স্থানীয় বাসিন্দা নিশীথ ফাদিকার বলেন, ‘‘বুকিং কাউন্টারে ঢোকার মুখে গরুগুলি প্রায়ই মারামারি করে। অনেক সময় যাত্রীরা শিঙের গুঁতো খেয়ে পড়েও যান। কয়েকদিন আগে তো একটি ট্যাক্সির সামনের কাচ ভেঙেছে শিঙের গুঁতোয়।’’ ঘাটালের খুকুড়দহ এলাকার বাসিন্দা সুদর্শন মাইতি বলেন, ‘‘কলকাতায় যাওয়ার জন্য প্রতিদিন সকালে ট্রেন ধরতে যাই। কিন্তু স্টেশনে ঢোকার একমাত্র প্রবেশপথের সিঁড়িতে বসে থাকে গরুর দল। গোবর ছড়িয়ে থাকায় খুব অসুবিধা হয়।’’

উল্লেখ্য, ওই স্টেশন দিয়ে পাঁশকুড়া ছাড়াও ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা যাতায়াত করেন। প্রতিদিন প্রায় ৩০ হাজার যাত্রী ও আনাজ বাজারে আসা কৃষক-ব্যবসায়ীরা স্টেশন ব্যবহার করেন। ফলে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত স্টেশনে থাকে যাত্রীদের ভিড়। এমন জনবহুল স্টেশনের প্রবেশ পথে গরুদের ‘উপদ্রব’ কীভাবে কমবে, তা জানেন না কেউ।

এ ব্যাপারে প্রায় অসহায় সুরে স্টেশন ম্যানেজার মেঘরাই হাঁসদা বলেন, ‘‘স্টেশনে ঢোকার মুখে গরুর দাপাদাপি যাত্রীদের যাতায়াতে অসুবিধা তৈরি করছে। সেটা জানি। আমরা মাঝে মাঝে গরু তাড়ানোর ব্যবস্থা করি। কিন্তু ওরা ফের চলে আসে। গরুগুলিকে সরানোর জন্য সাহায্য চেয়ে পুরসভাকে চিঠি দিয়েছি।’’

Cow Courtyard Possession Railway
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy