Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ বার পিংলায় সভা বিজেপির

বিস্ফোরণের পর দু’সপ্তাহ কেটে গেলেও চাপানউতোর অব্যাহত। গত ৬ মে পিংলার ব্রাহ্মণবাড়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ১২ জনের। জখম হন চার জন। তারপরে বিভিন্ন সময় একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতারা পিংলায় গিয়েছেন। গত সোমবার পিংলায় মিছিল করে কংগ্রেস। আগামী শুক্রবার পিংলার মুণ্ডমারিতে সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। সভায় উপস্থিত থাকতে পারেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, রীতেশ তেওয়ারি, সুভাষ সরকার।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৫ ০০:৫৫
Share: Save:

বিস্ফোরণের পর দু’সপ্তাহ কেটে গেলেও চাপানউতোর অব্যাহত।

গত ৬ মে পিংলার ব্রাহ্মণবাড়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ১২ জনের। জখম হন চার জন। তারপরে বিভিন্ন সময় একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতারা পিংলায় গিয়েছেন। গত সোমবার পিংলায় মিছিল করে কংগ্রেস। আগামী শুক্রবার পিংলার মুণ্ডমারিতে সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। সভায় উপস্থিত থাকতে পারেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, রীতেশ তেওয়ারি, সুভাষ সরকার। এই কর্মসূচি সফল করতে বুধবার দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করল বিজেপি। এ ছাড়া সবং ও ডেবরাতেও বৈঠক করেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রে খবর, মূলত সভায় লোক জড়ো করা নিয়েই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কারখানার মালিক বিস্ফোরণে নিহত রামপদ মাইতিকে সামনে রেখে বকলমে কারখানা চালাতেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা রঞ্জন মাইতি। ঘটনার পরদিন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। বাজির আড়ালে ওই কারখানায় বোমা তৈরি হত বলেও অভিযোগ। ঘটনার পর এলাকায় একাধিক বার ঘুরে গিয়েছেন সিআইডির আধিকারিকরা। ঘটনাস্থলে এসেছেন বম্ব স্কোয়াড ও ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরাও।

তবে ব্রাহ্মণবাড়ের বাসিন্দাদের কথায়, রঞ্জন মাইতি গ্রেফতার হলেও এখনও অধরা তাঁর বাকি ছ’জন ভাই। রাতের অন্ধকারে তাঁদের স্ত্রীরা বাড়িতে যাতায়াতও করছেন। স্থানীয় রঞ্জিত প্রধান, সনাতন টুডুরা বলছিলেন, “অন্ধকার হলেই গ্রামের রাস্তা ফাঁকা যাচ্ছে। পুলিশের সাহায্যে রঞ্জনের ভাইদের পরিবার লুকিয়ে বাড়িতে ঢুকছে।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘এখন পুলিশ থাকলেও পরে রঞ্জন মাইতি বা ওর ভাইরা শাসকদলকে সঙ্গে নিয়ে গ্রামের মানুষকে আস্ত রাখবে না, এই আশঙ্কা থেকেই ভয়ে রয়েছি।”

বিজেপি সূত্রে খবর, গ্রামবাসীদের পাশে থাকার বার্তা দিতেই দল এই কর্মসূচি নিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের কাছেও কর্মসূচির কথা জানানো হয়েছে। যদিও প্রশাসনিকভাবে সভার জন্য এখনও অনুমতি মেলেনি। বিজেপির জেলা সভাপতি তুষার মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “ব্রাহ্মণবাড়-সহ বারুদের স্তূপে থাকা সারা বাংলার মানুষ আজ আতঙ্কিত। পিংলার ঘটনায় ব্যাকফুটে থাকা তৃণমূল এলাকায় সন্ত্রাস ছড়াতে চাইছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘ব্রাহ্মণবাড়ের মানুষের পাশে দাঁড়াতেই আমাদের এই কর্মসূচি। সেটা পুলিশ অনুমতি না দিলেও হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Pingla Kharagpur BJP blast Ranjan Maity
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE