পড়শি বধূকে ধর্ষণের দায়ে এক ব্যক্তিকে সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিল ঝাড়গ্রামের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত। মঙ্গলবার বিচারক বিভাসরঞ্জন দে এই সাজা ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত বছর চল্লিশের প্রবীর সরকারের বাড়ি বিনপুর থানার কড়াসাই গ্রামে। সরকারি কৌঁসুলি প্রবীর পাল জানান, সাজাপ্রাপ্তকে নগদ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাও করেছেন বিচারক। জরিমানার টাকা অনাদায়ে ওই ব্যক্তিকে আরও এক বছর সশ্রম কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রায় অনুযায়ী, জরিমানার টাকা আদায় হলে তা পাবেন নির্যাতিতা মহিলাটি।
সরকারি কৌঁসুলি প্রবীর পাল জানান, ২০১১ সালের দুর্গাপুজোর সময় বছর তেইশের ওই তরুণী বধূ বিনপুরের কড়াসাই গ্রামে বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন। ওই বধূর শ্বশুরবাড়ি জামবনির কিশোরীপুর গ্রামে। ২০১১ সালের ১ অক্টোবর সকালে কড়াসাই গ্রামের বাপের বাড়িতে একাই ছিলেন ওই বধূ। তাঁর বাপের বাড়ির লোকেরা হাড়দা বাজারে গিয়েছিলেন। সেই সুযোগে ওই বধূকে বাড়িতে একা পেয়ে প্রতিবেশী প্রবীর সরকার তাঁর গলায় ভোজালি ঠেকিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ।
বধূটি প্রথমে প্রবীরের শাসানির জেরে পুলিশে অভিযোগ করার সাহস পান নি। পরে ২০১১ সালের ৩ অক্টোবর এসডিপি (ঝাড়গ্রাম)-এর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। এসডিপিও-র নির্দেশে ওই দিনই প্রবীরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের ধারায় মামলা রুজু করে বিনপুর থানার পুলিশ। পরদিন ৪ অক্টোবর প্রবীরকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ২০১১ সালের ২৬ নভেম্বর মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার বিনপুর থানার তত্কালীন এসআই তানাজি দাস ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১২ সালের মার্চে মামলাটি দায়রা সোপর্দ হয়ে দায়রা আদালতে ওঠে।
ইতিমধ্যে ২০১২ সালের ৩ ডিসেম্বর অভিযুক্ত প্রবীর দায়রা আদালত থেকে শর্তাধীন জামিনে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে যান। ঝাড়গ্রামের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে মামলাটির বিচার চলতে থাকে। ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত। সোমবার প্রবীরকে দোষী সাব্যস্ত করে তাঁকে জেল হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। আদালতের নির্দেশে প্রবীরকে জেল হেফাজতে নেওয়া হয়। মঙ্গলবার বিচারক সাজা ঘোষণা করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy