ঝুলন্ত: বেঁকে গিয়েছে সেতুর স্তম্ভ। নিজস্ব চিত্র
ন’বছর আগে বর্ষায় চাণ্ডিল জলাধার থেকে ছাড়া জলের তোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সেতু। তারপর থেকে কপালেশ্বরী নদী দিয়ে অনেক জল বয়ে গেলেও সেতু আর মেরামত করা হয়নি। সবংয়ের তেমাথানি থেকে নারায়ণগড় যাওয়ার রাস্তায় লক্ষ্মণচকের এই সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই চলছে যাতায়াত।
সবংয়ের এই সেতুর দক্ষিণে রয়েছে দেভোগ, ভিসিন্ডিপুর, খড়পোড়া, কানাইশোল, খেলনা, দণ্ডরা, চাঁদকুড়ি গ্রাম। এই সেতু পেরিয়ে বসন্তপুর, উচিৎপুর, বসন্তপুর, তেমাথানি, মকরামপুর, বিরবিরা গ্রামে যাতায়াত করেন এলাকার লোকেরা।
২০০৮ সালের জুন মাসে চাণ্ডিল জলাধার থেকে জল ছাড়ায় ভেসে গিয়েছিল কপালেশ্বরী নদীর সতী খালের এই সেতু। জলের তোড়ে উচিৎপুর ও দেভোগ গ্রামের মাঝে থাকা এই সেতুর দু’টি স্তম্ভ মাটিতে বসে যায়। বসে যায় সেতুর মাঝের অংশ। বিপজ্জনক এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন বহু মানুষ বাধ্য হয়ে যাতায়াত করে।
কানাইশোলের কাছে ঘনাপোতায় বাড়ি স্কুল শিক্ষক বাদল হাজরার। তিনি বলেন, “এই সেতু দিয়ে চলাফেরা করতে ভয় হয়। সঙ্কীর্ণ সেতু দিয়ে দু’টি গাড়ি পাশাপাশি যেতে গেলে যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। রাতে সমস্যা আরও বাড়ে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘সকলে সবকিছু জানে। তা-ও সেতু মেরামত হয়নি।”
এ বিষয়ে সেচ দফতরের এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার তথা কপালেশ্বর নদী সংস্কার প্রকল্পের আধিকারিক শুভাশিস পাত্র বলেন, “এলাকার সমস্ত কাঠের সেতু রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। কংক্রিটের ওই সেতু জেলা পরিষদ বা পঞ্চায়েত সমিতি রক্ষণাবেক্ষণ করে বলে মনে হয়।” সেতু সংস্কার নিয়ে সেচ দফতরের দিকে দায় ঠেলছে পঞ্চায়েত সমিতি। সমিতির সভাপতি অমল পণ্ডা বলেন, “লক্ষ্মণচকের সেতু মেরামত করা হবে। এ বিষয়ে আমরা বারবার সব মহলে জানিয়েছি। কারণ আমাদের একার পক্ষে ওই সেতু মেরামত সম্ভব নয়। এই কাজ সেচ দফতরের করা উচিত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy