গাছের ডাল ফেলে অবরোধ কনকাবতীতে। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ।
বালি ব্যবসায় পুলিশি জুলুম চলছে, এই অভিযোগে মঙ্গলবার সকালে মেদিনীপুর সদরের কঙ্কাবতীতে পথ অবরোথ করেন বালি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত খাদান মালিক, লরি মালিক, লরি চালকেরা। মেদিনীপুর- ধেড়ুয়া সড়ক অবরোধ করা হয়। ঝাড়গ্রামগামী সড়কটি অবরোধের ফলে সমস্যাও হয়। বেশ কিছুক্ষণ এই সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ এসে অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। পুলিশ অবশ্য জুলুমের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের বক্তব্য, এখন চেকিং চলছে। বৈধ কাগজপত্র না- থাকলে কিছু গাড়ি আটক করা হয়।
খাদান মালিক মধু মল্লিক বলেন, “পুলিশ রাস্তার মাঝে গাড়ি চালকদের হেনস্তা করছে। আমাদের বৈধ খাদান। বহু দিনের ব্যবসা। পুলিশের নির্যাতন চলায় খাদানে গাড়ি আসছে না। ফলে ব্যবসা মার খাচ্ছে। দু’শো টাকার মতো রসিদ দেয়। আর বাইশ হাজার টাকা চায়। সিও থাকে। তাও পুলিশ অন্যায় ভাবে হেনস্তা করে।” বিকাশ জানা, স্বপন দে প্রমুখ লরি মালিক- লরি চালকের বক্তব্য, দাবি মতো টাকা না- দিলে পুলিশ কেস দিয়ে দেয়। বালি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সকলেই আতঙ্কে আছেন। নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ছেন। স্থানীয় ভোলানাথ ঘোষের কথায়, “বেশ কিছু অসাধু পুলিশ অফিসার মা- মাটি- মানুষের সরকারকে অপদস্ত করতেই এই কাজ করছেন।” বস্তুত, বালি নিয়ে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই সমস্যা চলছে মেদিনীপুরে। দিন কয়েক আগে মেদিনীপুরে এসেছিলেন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সেচমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকেও বিষয়টি ওঠে। সিদ্ধান্ত হয়, অবৈধ বালি পাচার রুখতে সেচ দফতর এবং পুলিশ যৌথ ভাবে চেক- পোস্ট তৈরি করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy