বিপজ্জনক: সিলিং ফ্যান ঝুলছে। ভেঙে পড়েছে চাঙড়। নিজস্ব চিত্র
পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ নেই স্কুলে। তাই ঝাড়গ্রাম ব্লকের নেতুরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরনো ভবনের অফিস ঘরেই চলত প্রাক প্রাথমিকের শিশুপড়ুয়াদের পড়াশোনা। ওই ঘরের একদিকে টেবিল পেতে স্কুলের প্রশাসনিক কাজ সারতেন টিচার-ইনচার্জ। দিন কয়েক আগে ছাদের চাঙড় খসে পড়ায় এখন ওই ঘর তালাবন্ধ। ব্যাহত হচ্ছে পঠন পাঠন। অবিলম্বে ভবন সংস্কারের দাবি জানিয়েছে গ্রামবাসী।
নেতুরা গ্রামের এই প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়ার সংখ্যা ৯৪। আশির দশকের গোড়ায় স্কুলটি চালু হয়। স্কুলটির পুরনো ভবনের তিনটি ঘরের দু’টিতে প্রথম ও তৃতীয় শ্রেণির ক্লাস হয়। জায়গার অভাবে এতদিন টিচার ইনচার্জের অফিস ঘরের মেঝেতে বসত প্রাক প্রাথমিকের ২১ জন শিশু পড়ুয়া। স্কুলের নতুন ভবনের একটি মাত্র ঘরে একসঙ্গে দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ক্লাস নেওয়া হয়।
স্কুল ও স্থানীয় সূত্রের খবর, পুরনো ভবনের দু’টি শ্রেণিকক্ষ ও টিচার ইনচার্জের ঘরের ছাদের পলেস্তারা প্রায়ই খসে পড়ে। বৃষ্টি হলে ছাদ থেকে জল পড়ে ঘরও ভিজে যায়। শিক্ষক দিবসের আগের দিন গত সোমবার সকালে স্কুল শুরু হওয়ার আগে টিচার ইনচার্জের ঘরের ছাদ থেকে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বিশাল চাঙড়। ওই সময় প্রাক প্রাথমিকের শিশু পড়ুয়ারা তখনও স্কুলে এসে পৌঁছয়নি। টিচার ইনচার্জ সুব্রত বৈদ্য সবে স্কুলে এসেছিলেন। তাঁর কথায়, “বড় দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গিয়েছি। পড়ুয়ারা ওই ঘরে থাকলে সর্বনাশ হয়ে যেত। প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি।” তিনি জানান, স্কুল ভবন রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সর্বশিক্ষা মিশন থেকে বছরে মাত্র ৫ হাজার টাকা মেলে। সেই টাকায় বেহাল পুরনো স্কুল বাড়ি সংস্কার করা সম্ভব হয় না।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দায়সারা ভাবে নয়, আমূল সংস্কার করা হোক স্কুলের পুরনো ভবনটি। কারণ পুরনো ভবনের বাকি দু’টি শ্রেণিকক্ষেরও একই অবস্থা। যে কোনও সময় পড়ুয়াদের মাথায় ছাদ ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় ভয়ে থাকেন অভিভাবকরাও। নেতুরা প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সমস্যার কথা বিডিওকে জানিয়েছেন। ঝাড়গ্রামের বিডিও সুদর্শন চৌধুরী বলেন, “সমস্যার কথা শুনেছি। ছাদটি সারানোর জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ
করা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy