রাজনৈতিক ব্যঙ্গচিত্রে সেজেছে পুজো মণ্ডপ। মেদিনীপুর শহরে। নিজস্ব চিত্র।
রাজনীতির আঙিনা থেকে ‘খেলা হবে’ স্লোগান উঠে এল এ বার পুজোর মণ্ডপেও। মেদিনীপুর শহরে সরস্বতী পুজোয় মাতাচ্ছে ‘খেলা হবে’ স্লোগান। রাজনীতির ময়দানে এখন এই কথাটা বহুল চর্চিত। ‘খেলা হবে’ গানে নেচে উঠছেন বিধায়ক থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। এক দিকে তৃণমূল যখন ‘খেলা হবে’ বলছে, ঠিক অন্য দিকে বিজেপি-ও পাল্টা স্লোগান তুলে ধরল পুজোর মণ্ডপে।
মেদিনীপুর শহরের কলেজ স্কোয়ারে প্রায় ২০টি পুজো হয়। বিভিন্ন ক্লাবের নামে পুজো হলেও শাসক দল তৃণমূল থেকে শুরু করে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপির ছাত্র সংগঠনের নেতারা যুক্ত রয়েছেন এই পুজোগুলিতে। স্বাভাবিক ভাবেই রাজনীতির টক্কর পুজোর ময়দানেও হাজির। কোনও কোনও পুজোর মণ্ডপকে রাজনৈতিক ব্যঙ্গচিত্রে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। সেখানে মোদী, মমতা, দিলীপ, শুভেন্দু, মুকুল, শোভন, বৈশাখী, পার্থ-সহ বিভিন্ন দলের নেতারা ঠাঁই পেয়েছেন। উঠে এসেছে ‘খেলা হবে’র স্লোগানও। নির্বাচনের আগে যুযুধান দুই যেমন স্লোগান তুলে রাজনীতির ময়দানে লড়ছে, বাদ পড়ল না পুজোর মণ্ডপও।
সোমবার একটি পুজোর উদ্বোধন করতে এসেছিলেন অভিনেতা তথা তৃণমূল নেতা সোহম, দেবাংশু ভট্টাচার্য এবং তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি। এসেছিলেন গায়ক নচিকেতাও। ওই পুজোর সঙ্গে মেদিনীপুর পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের সদস্য নির্মাল্য চক্রবর্তী জড়িত রয়েছেন। তার ঠিক উল্টো দিকেই একটি পুজোর সঙ্গে রয়েছেন জেলা বিজেপি-র সহ-সভাপতি শুভজিৎ দাস। আবার সদ্য তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যোগ দেওয়া জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ রমাপ্রসাদ গিরিও একটি পুজোর সঙ্গে জড়িত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy