দাবি জানিয়ে ফল মিলল। মহিলা ও বয়স্কদের জন্য আলাদা টিকিট কাউন্টার চালু হল মেদিনীপুর স্টেশনে।
মেদিনীপুর স্টেশনের নানা সমস্যা নিয়ে ভোগান্তির অন্ত নেই নিত্যযাত্রীদের। তা নিয়ে একাধিকবার রেল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ভাবে দাবিপত্রও দিয়েছিল মেদিনীপুর-হাওড়া নিত্যযাত্রী অ্যাসোসিয়েশন। সেই দাবির তালিকায় অন্যতম ছিল মহিলা ও বয়স্কদের জন্য আলাদা টিকিট কাউন্টর। দাবি মেনেই রবিবার থেকে ওই বিশেষ কাউন্টার চালু হয়েছে। এর জন্য রেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নিত্যযাত্রী অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হিমাংশু পাল। তিনি বলেন, “একটি দাবি পূরণ হওয়ায় আমরা আশাবাদী, ধীরে ধীরে বাকি দাবিও পূরণ হবে। রেলকে ধন্যবাদ।’’
রেল সূত্রে খবর, এরপর মেদিনীপুর স্টেশনে উড়ালপুলের পরিসর বৃদ্ধি করা হবে। বর্তমানে মেদিনীপুর স্টেশনে একটি উড়ালপুল রয়েছে। সেটির পরিসর ছোট। ফলে, ট্রেন প্ল্যাটফর্মে ঢুকলেই যাত্রীরা ওই উড়ালপুল দিয়ে ওঠা-নামা শুরু করেন। ভিড়ের মধ্যে যাতায়াত কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষত, সমস্যায় পড়েন মহিলা, প্রবীণ ও শিশুরা। তাই ওই উড়ালপুলের পরিসর বৃদ্ধির পাশাপাশি তাঁতিগেড়িয়ার দিকেও একটি নতুন উড়ালপুল চালুর দাবি জানিয়েছিলেন যাত্রীরা। নতুন উড়ালপুল চালুর সিদ্ধান্ত না হলেও বর্তমান উড়ালপুলটির পরিসর বৃদ্ধির কাজ শীঘ্রই শুরু হবে বলে মেদিনীপুরের স্টেশন ম্যানেজার বিশ্বনাথ ঘোষ জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম খড়্গপুরে এসে গিয়েছে। সেগুলি মেদিনীপুরে আনার ব্যবস্থা হচ্ছে। তারপরেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।’’
ট্রেনের সময় জানান দিতে মেদিনীপুর স্টেশনের বৈদ্যুতিন ডিসপ্লে বোর্ডটি বেশ কিছুদিন হল খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। সেটি মেরামত করা, মেদিনীপুর স্টেশন থেকে আরও ট্রেন চালু, হলদিয়া-আসানসোল ট্রেনটিকে মেদিনীপুরে না আটকে দ্রুত হলদিয়া পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা-সহ নানা দাবি জানিয়েছিলেন যাত্রীরা। তা নিয়ে খড়্গপুর ডিভিশনের ডিআরএমের সঙ্গে বৈঠকও করেন নিত্যযাত্রীরা। তাঁকে স্মারকলিপি দেন। ডিআরএম আশ্বাসও দিয়েছিলেন, সমস্ত দাবি খতিয়ে দেখবেন তিনি। তার এক সপ্তাহের মধ্যে একটি দাবি পূরণ হল।
তবে সদ্য চালু হওয়া মহিলা ও বয়স্কদের কাউন্টারে এখন সাধারণ যাত্রীরাও দাঁড়িয়ে পড়ছেন। কাউন্টারের সামনে মহিলা ও বয়স্কদের জন্য লেখাটিও বেশ ছোট। ফলে, দূর থেকে তা বোঝা মুশকিল। সোমবার স্ত্রীকে নিয়ে আত্মীয় বাড়ি যাচ্ছিলেন মেদিনীপুরের বাসিন্দা অজয় রায়। এতদিন তিনি নিজে টিকিট কাটতেন। লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হত। এ দিন মহিলাদের কাউন্টারে লাইন না থাকায় স্ত্রী চটজলদি টিকিটটা কেটে ফেলেছেন। ফলে, ওই দম্পতি খুশি। পাঁশকুড়ার ট্রেন ধরতে স্টেশনে আসা সবিতা পাত্রও নতুন কাউন্টার থেকে নির্বিঘ্নে টিকিট কেটেছেন এ দিন। হাসিমুখে তিনি বলেন, “আগে জানা থাকলে বাড়ি থেকে আরও আধঘন্টা পরে বেরোতাম। এতে আমাদের ভীষণ উপকার হল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy