Advertisement
E-Paper

পড়ে দোকান, চাবি পাননি হকাররা

হকার পুনর্বাসন তিমিরেই! পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদ লাগোয়া ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে তৈরি হয়েছে ৩৫টি দোকান ঘর। ওই দোকানগুলিতেই হকারদের পুনর্বাসন দেওয়ার কথা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০১৬ ০৬:৩৫
পড়ে রয়েছে দোকান। মেদিনীপুরে। — নিজস্ব চিত্র।

পড়ে রয়েছে দোকান। মেদিনীপুরে। — নিজস্ব চিত্র।

হকার পুনর্বাসন তিমিরেই!

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদ লাগোয়া ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে তৈরি হয়েছে ৩৫টি দোকান ঘর। ওই দোকানগুলিতেই হকারদের পুনর্বাসন দেওয়ার কথা। গত ১৩ জুন নারায়ণগড়ের প্রশাসনিক সভা থেকে জেলা পরিষদের মার্কেট কমপ্লেক্সের উদ্বোধনও করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও উদ্বোধনের পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও দোকানের চাবি পাননি হকাররা। জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ জানিয়েছেন, “এক সপ্তাহের মধ্যেই জেলা পরিষদের সামনে থাকা ৩৫ জন হকারের হাতেই দোকানের চাবি তুলে দেওয়া হবে। দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই।”

আড়ে বহরে বাড়ছে জেলার সদর শহর মেদিনীপুর। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হকারের সমস্যাও। হকারের দাপটে ক্রমে সঙ্কীর্ণ হচ্ছে রাস্তা। জেলা পরিষদ লাগোয়া রাস্তায় হকারের দাপটে যানজট ছিল নিত্যদিনের সমস্যা। হকার সমস্যার কথা স্বীকার করলেও এতদিন পুর কর্তৃপক্ষ কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ করেননি। সমস্যা সমাধানে প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে নিজস্ব জমিতে মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি করে জেলা পরিষদ। পরে মার্কেট কমপ্লেক্স দোতলা করার পরিকল্পনাও রয়েছে। জেলা পরিষদ সূত্রে খবর, দোতলা ও তিনতলায় আরও দোকানঘর তৈরি করে ভাড়া দিলে জেলা পরিষদের আয়ও বাড়বে। আবার শহরের হকার সমস্যার সমাধান হবে। যদিও মার্কেট কমপ্লেক্সের দোকান এখনও বণ্টন না হওয়ায় হতাশা বাড়ছে।

এক দোকান মালিকের কথায়, “ফুটপাথের দোকানের উপর নির্ভর করেই আমাদের সংসার চলে। জেলা পরিষদ স্থায়ী দোকান বানিয়ে আমাদের অনেক উপকার করেছেন। কিন্তু নতুন দোকান চালু করতে বেশি দেরি হলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আমাদের তো আর বেশি টাকা জমা নেই।” এ বিষয়ে সভাধিপতির আশ্বাস, ‘‘আমি বুঝতে পারছি, কিছুটা সমস্যা হবে। তাই এ বার এক সপ্তাহের মধ্যেই ওঁদের হাতে দোকানের চাবি দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”

হকার পুনর্বাসন নিয়ে কী ভাবছে মেদিনীপুর পুরসভা? এ বিষয়ে পুরপ্রধান প্রণব বসু বলেন, “এখন এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনও পরিকল্পনা তৈরি করা হয়নি। শীঘ্রই পুরসভার পাশাপাশি সমস্ত বিধায়ক, জেলা পরিষদ, মেদিনীপুর-খড়্গপুর উন্নয়ন পর্ষদ- সকলে মিলে আলোচনার মাধ্যমে একটি রূপরেখা তৈরি করার জন্য পদক্ষেপ করা হবে।”

shops
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy