Advertisement
E-Paper

চন্দ্র পরিবারে গাঁধীর স্বাক্ষর

পুরনো দিনের স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে হরিপদবাবুর দুই মেয়ে গীতা ও নীরা লাহা জানান, তিরিশের দশকের মাঝামাঝি থেকে স্বাধীনতার আগে পর্যন্ত গাঁধী বাংলার যেখানেই আসতেন সেখানেই চলে যেতেন বাবা। তাঁর বক্তব্য শুনতেন।

রূপশঙ্কর ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৯ ০০:১৪
যত্নে রাখা সেই ফ্রেম। নিজস্ব চিত্র

যত্নে রাখা সেই ফ্রেম। নিজস্ব চিত্র

ঠাকুরঘরে অন্য দেব-দেবীর সঙ্গেই রাখা রয়েছে একটি কাচ ও স্টিলের ফ্রেম। তার মধ্যে থাকা মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর স্বাক্ষর করা চিরকূটকে প্রতিদিন শ্রদ্ধা জানায় গড়বেতার রাধানগর মোড়ের চন্দ্র পরিবার।

বাড়ির ঠাকুরঘরে মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর ছবি কেন? অশোক চন্দ্র, তাপস চন্দ্রদের কথায়, ‘‘আমাদের বাবা হরিপদ চন্দ্র বলতেন গাঁধীর আদর্শেই দেশবাসীর অনুপ্রাণিত হওয়া উচিত। তিনি নিজে গাঁধীর কাছে গিয়ে তাঁর স্বাক্ষর করা চিরকূট নিয়ে এসেছিলেন। বাবাই তাকে বাঁধিয়ে ঠাকুরঘরে রেখেছিলেন। আমরা সেই রীতি বজায় রেখেছি।’’

পুরনো দিনের স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে হরিপদবাবুর দুই মেয়ে গীতা ও নীরা লাহা জানান, তিরিশের দশকের মাঝামাঝি থেকে স্বাধীনতার আগে পর্যন্ত গাঁধী বাংলার যেখানেই আসতেন সেখানেই চলে যেতেন বাবা। তাঁর বক্তব্য শুনতেন। চিরকূটটি কবে পেয়েছিলেন হরিপদবাবু? সঠিক সময় মনে করতে না পারলেও চন্দ্র পরিবারের অনুমান, স্বাধীনতা পাওয়ার ৭-৮ বছর আগে গাঁধী যখন ব্যারাকপুর অথবা মেদিনীপুরে এসেছিলেন তখনই সেই চিরকূট পাওয়া গিয়েছিল। পরিবারের পরবর্তী প্রজন্ম সেই উপহারকে সযত্নে রক্ষা করছেন। নতুন প্রজন্মের সদস্যরাও তার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন।

চন্দ্র পরিবারের দুই নবীন সদস্য সায়ন্তন ও নভনীলের কথায়, ‘‘মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর স্বাক্ষর করা কাগজ আমাদের বাড়িতে আছে এটা ভাবলেই গর্ব হয়। অনেকেই এই চিরকূট দেখার জন্য আমাদের বাড়িতে আসে।’’

আজ, ২ অক্টোবর গাঁধী জয়ন্তী। চন্দ্র পরিবার অবশ্য এ দিনের জন্য বিশেষ কোনও আয়োজনে বিশ্বাসী নয়। তাঁদের কাছে প্রতিদিনই গাঁধীকে শ্রদ্ধা জানানোর দিন।

Mahatma Gandhi Signature Garhbeta
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy