সাপে কেটেছিল জামবনি ব্লকের পড়শুলি গ্রামের বছর পনেরোর লালু মুর্মুকে। সরকারি হাসপাতালে না গিয়ে গুনিনের উপরে ভরসা করেছিলেন পরিবার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসাতেই বেঁচে ফিরেছে লালু। তাই সর্পদষ্ট রোগীকে সবার আগে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিতে লালুই এখন প্রচারের মুখ।
রবিবারই লালুকে হাসপাতাল থেকে গাড়িতে বাড়ি পৌঁছে দিতে এসেছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক শুভঙ্কর গায়েন। তিনি বলেন, “সাপে কামড়ালে ওঝা নয়, সরাসরি সরকারি হাসপাতালে যাতে লোকজন যায়, সেটা গ্রামের লোকেদের বোঝাবে লালু।” আর লালুর কথায়, ‘‘ডাক্তারবাবুর জন্য জীবন ফিরে পেয়েছি। সাপে কাটলে গুনিন নয়, সরকারি হাসপাতালেই যে যেতে হবে এটা সবাইকে বোঝাব।”
পরিবার সূত্রে খবর, গত ৩ জুন রাতে রাতে বাঁ হাতে হুল ফোটার মতো যন্ত্রণায় ঘুম ভেঙে যায় লালুর। পরদিন সকালে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে গুনিনের ওষুধ খাওয়ানো হয়। ৫ জুন সকাল থেকেই সে চোখ খুলতে পারছিল না। খাওয়াদাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। কাউকে চিনতেও পারছিল না সে। এই অবস্থায় তাকে প্রথমে চিল্কিগড় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা যায় তাকে সাপে কামড়েছে। সঙ্গে সঙ্গে লালুকে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়। ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালের সিসিইউতে যখন লালুকে ভর্তি করা হয়, তখন তার অবস্থা সঙ্কটজনক ছিল বলে হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান।