Advertisement
E-Paper

সংক্রান্তির আগে মিড ডে মিলের পাতে পৌষের পিঠে

মকর সংক্রান্তির আগের দিন, সোমবার কেশিয়াড়ির একটি প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের পাতে পড়ল পৌষের পিঠে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:৩৬
আহ্লাদে: খুদেদের পাতে পড়েছে পিঠে। নিজস্ব চিত্র

আহ্লাদে: খুদেদের পাতে পড়েছে পিঠে। নিজস্ব চিত্র

শীত মানেই পিঠেপুলি আর মেলার আমেজ। পৌষ-পার্বণ মানেই প্রতিটি ঘরে ঘরে নানা ধরনের পিঠে। এ বার মিড ডে মিলেও পিঠের স্বাদ পেল স্কুল পড়ুয়ারা। মকর সংক্রান্তির আগের দিন, সোমবার কেশিয়াড়ির একটি প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের পাতে পড়ল পৌষের পিঠে।

চতুর্থ থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা চালের গুঁড়ো দিয়ে মণ্ড তৈরি করে স্কুলের বারান্দায় আনন্দে একসঙ্গে বসে বানাল পুর পিঠে। কেশিয়াড়ি তিলাবনি প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে শিক্ষকদের সাহায্য নিয়েই অপটু হাতে পিঠে বানিয়ে মিড ডে মিলে তা পরিবেশন করা হল। উপরি পাওনা ছিল গুড়। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানালেন, বিগত পাঁচবছর ধরে পড়ুয়াদের পৌষের পিঠের আমেজ দিতে এবং লোক সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে এই উদ্যোগ।

পড়ুয়ারা আগে জেনে গিয়েছিল, সোমবার স্কুলে পিঠে হবে। তাই এ দিন উপস্থিতির হারও বেশি ছিল স্কুলে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তপনকুমার পড়্যা বলেন, ‘‘অনেকের বাড়িতে পিঠে হয় না। আবার একসঙ্গে মিলে পিঠে বানানো ও খাওয়ার স্বাদ পেল ছাত্রছাত্রীরা।’’ একদিন পিঠের স্বাদ দিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ আতপ ও সেদ্ধ চাল কিনে গুঁড়ো করে আনেন। স্কুল খুলতেই শুরু হয়ে যায় পিঠে তৈরির কাজ। স্কুলের মিড ডে মিলের রান্না ঘরেই জড়ো হয়েছিল পিঠে তৈরির সরঞ্জাম। সারিবদ্ধ ভাবে বসে পড়ুয়ারা। তাদের হাত ধরে পুর পিঠে তৈরি শিখিয়ে দিলেন শিক্ষকেরা।

ছোট ভাইদের পিঠে খাওয়াতে পেরে খুশি দিদি ও দাদারা। অষ্টম শ্রেণির লতিকা মান্না , অভিষেক মাহাত বলে, ‘‘এমনটা তো বাড়িতে পাওয়া যায় না। সকলে পিঠে বানালাম। মাস্টারমশাই সাহায্য করলেন। একসঙ্গে বসে খেলাম। বেশ ব্যাপার। ছোটদেরও পিঠে খাওয়ানো গেল।’’ পঞ্চম শ্রেণির দীপিকা মাহাত, তৃতীয় শ্রেণির সুজাতা হাঁসদারা বলে, ‘‘বছরে একদিন স্কুলে বেশ আনন্দ হয়।’’

তিলাবনি উচ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শুভাশিস দাসের কথায়, ‘‘গ্রাম-বাংলা থেকে পিঠের চল প্রায় উঠে যেতে বসেছে। লোক সংস্কৃতির একটি ঐতিহ্য পৌষ পার্বণে পিঠে পুলি। সেই সম্পর্কে জানতে পারল ছাত্রছাত্রীরা। পিঠে বানানো শেখা এবং স্বাদও পেল খুদেদের দল।’’

Mid Day Meal School
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy