Advertisement
১০ মে ২০২৪
jungalmahal

Jungalmahal Utsav: করোনা আবহে আজ থেকে শুরু জঙ্গলমহল উৎসব, শেষবেলায় আমন্ত্রণ-বিতর্ক

শেষবেলায় বিতর্ক বাধল আমন্ত্রণপত্রের নাম নিয়ে। জঙ্গলমহল উৎসবের সরকারি আমন্ত্রণপত্রে প্রাক্তন বিধায়কদের নাম থাকলেও বর্তমান দুই বিধায়কের নাম নেই।

 স্টল তৈরির কাজ চলছে মেদিনীপুর কালেক্টরেট চত্বরে (বাঁ দিকে)।

স্টল তৈরির কাজ চলছে মেদিনীপুর কালেক্টরেট চত্বরে (বাঁ দিকে)। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২২ ০৮:০৯
Share: Save:

দীর্ঘ জলঘোলার পরে আজ, সোমবার বিকেলে ঝাড়গ্রামে শুরু হবে জঙ্গলমহল উৎসব। শেষমেশ সব বিধি মেনে উৎসবের আয়োজন হয়েছে। কিন্তু শেষবেলায় বিতর্ক বাধল আমন্ত্রণপত্রের নাম নিয়ে। জঙ্গলমহল উৎসবের সরকারি আমন্ত্রণপত্রে প্রাক্তন বিধায়কদের নাম থাকলেও বর্তমান দুই বিধায়কের নাম নেই।

আজ, সোমবার থেকে ঝাড়গ্রাম শহরের ননীবালা বয়েজ় স্কুলের মাঠে জঙ্গলমহল উৎসব শুরু হবে। তারই আমন্ত্রণপত্রে ঝাড়গ্রামের নামের তালিকায় রয়েছেন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রতিমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা, নয়াগ্রামের বিধায়ক দুলাল মুর্মু, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস, প্রাক্তন বিধায়ক চূড়ামণি মাহাতো ও খগেন্দ্রনাথ হেমব্রম, প্রাক্তন সাংসদ উমা সরেন, ট্রাইবাল অ্যাডভাইসারি কমিটির সদস্য বিরবাহা সরেন টুডু, রাজ্য আদিবাসী কল্যাণ ও শিক্ষা পরিষদের চেয়ারম্যান রবিন টুডু। নাম নেই জেলার দুই বিধায়ক বিনপুরের দেবনাথ হাঁসদা ও গোপীবল্লভপুরের খগেন্দ্রনাথ মাহাতোর। দেবনাথ জেলা তৃণমূল সভাপতিও বটে।

সূত্রের খবর, ঝাড়গ্রাম জেলার খুঁটিনাটি নখদর্পণে রয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর। বিধায়ক হওয়ায় পরে নানা বিতর্কে জড়িয়েছেন ওই দু’জন। সম্প্রতি সাঁকরাইলে ব্লক তৃণমূলের সম্মেলনে চেয়ারে বসা নিয়ে বিতর্কে জড়ান গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক। তিনি জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতিকে চেয়ার থেকে উঠে পিছনের সারিতে বসতে বলায় প্রকাশ্য মঞ্চে গন্ডগোল বাধে। ভোটের ফল ঘোষণার আগে এক ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গেও সংঘাতে জড়িয়েছিলেন খগেন্দ্রনাথ। অন্য দিকে দেবনাথ কম কথা বলেন। তারপর গত অগস্টে জেলা সভাপতি হওয়ার পরে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনিও। জেলা কমিটির বৈঠকে দেবনাথ নিজে ফোন করে কাউকে ডাকেন না। তাঁর আপ্ত সহায়কের মাধ্যমে ফোন করান। এ পর্যন্ত যতগুলি জেলা কমিটির বৈঠক হয়েছে তাতে হাজিরাও ছিল কম। বেশ কয়েকটি ব্লক সম্মেলনেও গন্ডগোল হয়েছে। মঞ্চে হাজির থেকেও চুপ থেকেছেন দেবনাথ। জেলা সভাপতির ভূমিকায় তৃণমূলের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন। তবে কি এ সবের পরিণামেই আমন্ত্রণপত্র থেকে বাদ পড়েছে নাম? দেবনাথের মোবাইল বন্ধ ছিল। আর খগেন্দ্রনাথ ফোন ধরেননি। জেলা তৃণমূলের এক নেতা বলছেন, ‘‘দিদি ঝাড়গ্রামকে খুবই ভালবাসেন। দিদির কাছে সব খবর রয়েছে কে, কী করছেন?’’ জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকও বলেন, ‘‘রাজ্যের নির্দেশ মতো আমন্ত্রণপত্র তৈরি হয়েছে। কে, কোথায় থাকবেন তা খোদ মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে ঠিক হয়েছে। এতে জেলার কোনও হস্তক্ষেপ নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

jungalmahal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE