রাজ্যে বিধানসভা ভোটের নিঘর্ণ্ট ঘোষণার আগেই পূর্ব মেদিনীপুরে জেলা কমিটির দুই সদস্য-সহ চার জন ইস্তফা দিলেন যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুপ্রকাশ গিরির কাছে। সকলেই বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর ‘গড়’ কাঁথি মহকুমা এলাকার বাসিন্দা। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি বিধানসভা ভোটের মুখে ফের পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূলে বড় রকমের ভাঙন ঘটতে চলেছে! জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি সুপ্রকাশের অবশ্য দাবি, ‘‘যাঁদের কথা বলা হচ্ছে তাঁরা সকলেই পদে রয়েছেন। তাই পদত্যাগের কোনও প্রশ্নই ওঠে না।’’
শুক্রবার জেলার ২৫টি ব্লক এবং পাঁচটি শহরের সভাপতি, সহ-সভাপতি এবং পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটির নাম ঘোষণা করেন সংগঠনের জেলা সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুরনোদের সভাপতি পদে বহাল রাখা হয়েছে। তবে কাঁথি শহরে দীর্ঘদিনের পুরনো যুব সভাপতি শেখ ইমরানকে সরিয়ে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। পরিবর্তে নতুন শহর সভাপতি করা হয় সুরজিৎ নায়ককে। সুরজিৎ সম্পর্কে রামনগরের বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অখিল গিরির ভাগ্নে।
জেলা যুব তৃণমূল সূত্রের খবর, পদ থেকে সরানোর পরেই যুব তৃণমূল ছাড়ার কথা লিখিত ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন ইমরান। তিনি বলেন, ‘‘এমন পরিস্থিতিতে কাজ করা সম্ভব নয়। আমাকে যুব তৃণমূলের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক। তবে আমি তৃণমূল কর্মী হিসাবে কাজ করতে চাই।’’ ইমরানের পরে যুবর জেলা সভাপতির কাছে লিখিতভাবে ইস্তফা পত্র পাঠিয়ে দেন কাঁথি-১ ব্লকের দুই সহ-সভাপতি নন্দ বেজ এবং পলাশ খাটুয়া। পরে জেলা কমিটির সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি সরতে চেয়েছেন আমিন সোহেল নামে আরেক যুব নেতা। এই তিনজনেই কাঁথি-১ ব্লকের বাসিন্দা। আর মোট চারজন যুব তৃণমূল ছেড়েছেন, তাঁরা সকলেই দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত।