নতুন রূপে স্টিল এক্সপ্রেস। নিজস্ব চিত্র
আধুনিক সুবিধাযুক্ত নতুন কামরা থেকে মিনি প্যান্ট্রি কার— খোলনলচে বদলাতে চলেছে স্টিল এক্সপ্রেসের। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হাওড়া থেকে টাটানগরগামী সুপারফাস্ট এই ট্রেনে এ বার থাকবে এলএইচবি কোচও। টাটা-খড়্গপুর শাখার ‘লাইফ লাইন’ এই ট্রেনে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের দিকেও বাড়তি নজর দেওয়া হবে বলে রেল সূত্রে খবর।
রেল সূত্রে খবর, নিরাপত্তা ও যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে স্টিল এক্সপ্রেসের ভোল বদলের জন্য রেল বোর্ডের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন দক্ষিণ-পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। প্রস্তাবে রেল বোর্ডের সবুজ সঙ্কেত মিলেছে। আগামী সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় হাওড়া স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করবে নবরূপে সজ্জিত স্টিল এক্সপ্রেস। ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরের সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগের জন্য ষাটের দশকের গোড়ায় চালু হয় হাওড়া-টাটানগর স্টিল এক্সপ্রেস। স্টিল এক্সপ্রেস হাওড়া থেকে টাটানগরের ২৫০ কিলোমিটার দূরত্ব মাত্র চার ঘণ্টায় পেরনোয় এই ট্রেনে প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী যাতায়াত করেন। আসেন পর্যটকরাও।
কী কী বদল হবে নতুন ট্রেনে? রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন ট্রেনটির ২২টি এলএইচবি কামরার মধ্যে দু’টি কামরায় থাকবে জেনারেটর চালিত বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা। প্রতিটি কামরায় থাকছে মডিউলার বায়ো টয়লেট। এতদিন পর্যন্ত স্টিল এক্সপ্রেসে একটি প্যান্ট্রি কারে হিটার জ্বালিয়ে খাবার রান্না ও গরম করার কাজ হত। নতুন কোচে সেই প্রথার অবসান ঘটিয়ে প্রতিটি কোচে মিনি প্যান্ট্রি থাকছে। বেস কিচেন থেকে খাবার ট্রেনে তোলা হবে। তারপরে ‘হট বক্সে’ খাবার গরম রাখা হবে। ট্রেনে আর হিটার জ্বেলে রান্না করার ব্যবস্থা থাকছে না। রেল সূত্রে দাবি, নতুন কোচগুলি দুর্ঘটনারোধী ও অনেক বেশি সুরক্ষিত।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ বলেন, “প্রচলিত কামরার পরিবর্তে আগামী ১১ জুন থেকে দুরন্ত ও রাজধানী এক্সপ্রেসের মতো আধুনিক কামরা নিয়ে চলবে স্টিল এক্সপ্রেস। যাত্রীদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ
করা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy