Advertisement
E-Paper

আজ শুরু টোটোর নথি জমা

বস্তুত, মেদিনীপুরে ঠিক কত টোটো চলাচল করে তার কোনও হিসেব নেই। এর সিংহভাগই অবৈধ। নথিপত্র জমা নিলে ওয়ার্ড ধরে ধরে টোটোর সংখ্যা নির্ধারণ করা সম্ভব হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৭ ০১:৪৪
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

অটো ও টোটো চালকদের সংঘাতে বারবারই অশান্তি বাধছে মেদিনীপুরে। শহরের পথে প্রচুর অবৈধ টোটো চলছেও। সমস্যা সমাধানে স্থায়ী নীতি রূপায়ণের পথে হাঁটা শুরু করছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। তারই প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে আজ, সোমবার থেকে টোটোর নথিপত্র জমা নেওয়ার কাজ শুরু হচ্ছে। ওয়ার্ড ধরে ধরে নথি জমা নেবে পরিবহণ দফতর। কোন ওয়ার্ডের নথি কবে জমা নেওয়া হবে সেই সূচিও চূড়ান্ত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে জেলা পুলিশ এবং পুরসভা। জেলার অতিরিক্ত পরিবহণ আধিকারিক অমিত দত্ত বলেন, “মেদিনীপুরের টোটো সমস্যা সমাধানের সব রকম চেষ্টা চলছে।’’

বস্তুত, মেদিনীপুরে ঠিক কত টোটো চলাচল করে তার কোনও হিসেব নেই। এর সিংহভাগই অবৈধ। নথিপত্র জমা নিলে ওয়ার্ড ধরে ধরে টোটোর সংখ্যা নির্ধারণ করা সম্ভব হবে।

দিন কয়েক আগে মেদিনীপুর পুরসভায় এক বৈঠকে শহরে টোটো সমস্যা সমাধানের সব দিক নিয়ে আলোচনা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) শচীন মক্কর, অতিরিক্ত পরিবহণ আধিকারিক অমিত দত্ত, পুরপ্রধান প্রণব বসু এবং মেদিনীপুরের কাউন্সিলরদের উপস্থিতিতে ওই বৈঠকেই ওয়ার্ড ভিত্তিক টোটোর তালিকা তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। পরিবহণ দফতরের এক কর্তা বলছিলেন, “কোন ওয়ার্ডের টোটোর নথি কবে জমা নেওয়া হবে তা নির্দিষ্ট হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দিনে কাউন্সিলরের শংসাপত্র নিয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের টোটো মালিকেরা দফতরে এলেই নথি জমা নেওয়া হবে। পরে জমা পড়া নথি খতিয়ে দেখা হবে।’’

কোন ওয়ার্ড

আজ, সোমবার থেকে আগামী ২৮ জুলাই পর্যন্ত নথি জমার কাজ চলবে। এই সংক্রান্ত তথ্য জানাতে শহরে মাইকে প্রচার চালাবে পুরসভা। টোটো মালিকেরা সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের কাছ থেকে শংসাপত্র নেবেন। সেই শংসাপত্র সহ নথিপত্র জমা দেবেন পরিবহণ দফতরে।

মেদিনীপুরে মোট ২৫টি ওয়ার্ড। শহরে দফায় দফায় প্রচুর টোটো নেমে গিয়েছে। এখনও নামছে। সমস্যার মূল কারণ এটাই। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা মানছেন, “মেদিনীপুরে প্রচুর টোটো নেমে গিয়েছে। সমস্যার শুরু এখানেই। এ বার অবৈধ টোটোয় রাশ টানা হবে।”

ওয়ার্ড ভিত্তিক তালিকা তৈরির পরে ফের টোটো নথিভুক্তকরণের কাজ শুরু হতে পারে। নথিভুক্তকরণের সময়ে দেখা হতে পারে, টোটো চালকদের পারিবারিক অবস্থা ঠিক কেমন। টোটোটি চালকেরই কেনা, না অন্য কেউ কিনে ব্যবসা করছেন। পরবর্তী সময়ে রুটও ঠিক করে দেওয়া হতে পারে। জেলা পরিবহণ দফতরের এক কর্তার আশ্বাস, “গরিব মানুষের ক্ষতি হবে, এমন কাজ করা হবে না। তবে কেউ কেউ টোটোকে সামনে রেখে বড় ব্যবসা ফেঁদেছেন। নিজে অন্য ব্যবসা কিংবা চাকরি করেন। পাশাপাশি, ৫-৬টি টোটো নামিয়েও ব্যবসা করছেন। এই টোটো ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না।” পুরকর্তারাও এ ক্ষেত্রে সহমত হয়েছেন।

Transportation Auto Toto Municipality টোটো অটো
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy