Advertisement
E-Paper

চিকিৎসকের তথ্য গোপনে বাড়বে বিপদ 

বেসরকারি নার্সিংহোমগুলিতে কারা চিকিৎসা করছে, সে সংক্রান্ত কোনও তথ্যই নেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে। জেলা থেকে কলকাতা সর্বত্রই একই অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে চাওয়া হল তথ্য। 

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৮ ০৭:৩০
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

খাতায়-কলমে তিনি উত্তরবঙ্গে কর্মরত সরকারি চিকিৎসক। কিন্তু চুটিয়ে প্র্যাকটিস করছেন কলকাতায়। আবার জেলার চিকিৎসক কলকাতার কোনও নার্সিংহোমের সঙ্গে যুক্ত। এ প্রবণতা নতুন নয়। যা নতুন তা হল, কোন কোন সরকারি চিকিৎসক নার্সিংহোম অথবা বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলিকে সে তথ্য স্বাস্থ্যভবনে জানাতেই হবে।

কিন্তু কোনও প্রতিষ্ঠান যদি তথ্য না দেয়? সে ক্ষেত্রে লাইসেন্সের পুনর্নবীকরণ আটকে যেতে পারে। পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, “জেলার নার্সিংহোমগুলিতে যুক্ত এমন সরকারি চিকিৎসকদের যাবতীয় তথ্য জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পনেরো দিনের মধ্যে জমা করতে হবে। তথ্য গোপন রাখলে সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোমের লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করা হবে না।”

বেসরকারি নার্সিংহোমগুলিতে কারা চিকিৎসা করছে, সে সংক্রান্ত কোনও তথ্যই নেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে। জেলা থেকে কলকাতা সর্বত্রই একই অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে চাওয়া হল তথ্য।

ঠিক কী কী চাওয়া হয়েছে?

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এবার থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের নার্সিংহোমগুলিতে কোন কোন সরকারি চিকিৎসক যুক্ত আছেন তা প্রমাণ-সহ সরাসরি জানাতে হবে স্বাস্থ্য ভবনে। নার্সিংহোম যুক্ত হওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সরকারি অনুমতি আছে কি না তা দেখাতে হবে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকেই। স্বাস্থ্য ভবনের অনুমতি (এনওসি মেমো নম্বর এবং অনুমতির তারিখ) পত্রও অনলাইনের মাধ্যমে পাঠাতে হবে। চিকিৎসক বিশেষজ্ঞ কি না, কোন হাসপাতালে কর্মরত, কখন নার্সিংহোমে আসেন, কী চিকিৎসা করছেন, রেজিস্ট্রেশন নম্বর-এই সমস্ত যাবতীয় তথ্যই স্বাস্থ্য ভবনে জমা দিতে হবে। কোনও তথ্য যদি কোনও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গোপন রাখে অথবা সরকারি চিকিৎসক যদি এই সমস্ত তথ্য প্রতিষ্ঠানগুলিতে না দিয়েই প্র্যাকটিস করেন সে ক্ষেত্রে দু’পক্ষকেই কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে। হঠাৎ কেন এই উদ্যোগ?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য ভবনের এক পদস্থ আধিকারিক বললেন, “বেসরকারি নার্সিংহোম বা হাসপাতালে কারা চিকিৎসা করছেন তার নির্দিষ্ট কোনও তথ্যই নেই স্বাস্থ্য ভবনে। এর ফাঁক গলে অনেক বেনিয়ম হচ্ছে। তাই এই পদ্ধতি চালু করা হচ্ছে।”

স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, নিয়মানুযায়ী সরকারি চিকিৎসকদের কর্মরত এলাকায় থাকতে হবে। এলাকা ছাড়লে প্রতিষ্ঠানের আধিকারিকদের অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু সবক্ষেত্রে এসব নিয়ম মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। তাই উত্তরবঙ্গে কর্মরত সরকারি চিকিৎসক প্র্যাকটিস করেন কলকাতায়। এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথায়, “ডিউটি ফাঁকি দিয়ে বা এলাকায় না থেকেই অনেক চিকিৎসক দূরের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। কাজের ক্ষেত্রের চেয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বেশি সময় ব্যয় করছেন।” এক স্বাস্থ্য কর্তা বলেন, “সরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার-সহ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসার যাবতীয় সুযোগ আছে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় সংশ্লিষ্ট সরকারি চিকিৎসক সরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেসরকারি নার্সিংহোমেই বেশি সংখ্যক রোগী দেখছেন। অস্ত্রোপচার করছেন। এবার এই পদ্ধতি চালু হলে এক লপ্তেই সমস্ত অনিময়-বেনিয়ম ধরা পড়বে।”

Doctor Hospital NursingHome
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy