গোলমালের পর বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হল গড়বেতা কলেজের সামনে। পুলিশি প্রহরায় ফের শুরু হল কলেজে প্রথম বর্ষের ভর্তি প্রক্রিয়া। মঙ্গলবার নতুন করে কলেজ চত্বরে কোনও গোলমাল হয়নি। কলেজের টিচার ইন চার্জ মন্টু কুমার দাস বলেন, “এ দিন আর কিছু হয়নি। সব ঠিকঠাকই রয়েছে।” কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি নারায়ণ মাইতি বলেন, “আগের দিন সামান্য একটা ঘটনা ঘটেছিল। এ দিন নতুন করে কিছু হয়নি। ভর্তি প্রক্রিয়াও চলেছে।”
মঙ্গলবার পর্যন্ত অবশ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)-এর বিবাদমান দুই গোষ্ঠীর দুই ছাত্র নেতা বৈঠকে বসেনি। সোমবার গোলমালের পর তৃণমূল নেতৃত্ব বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন। শাসক দলের ব্লক নেতৃত্ব দুই ছাত্র নেতাকে সতর্কও করে দেন। তাঁদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়, এমন কিছু করা যাবে না যাতে দল বিড়ম্বনায় পড়ে। দলের এক সূত্রে অবশ্য খবর, দুই ছাত্র নেতাই নিজেদের দাবিতে এখনও অনড়। দু’পক্ষেরই দাবি, অন্য পক্ষই বহিরাগতদের নিয়ে এসে কলেজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। কেন স্থানীয় নেতৃত্বকে আলোচনায় বসানো গেল না? আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা না- মিটলে আগামী দিনে তো ফের গোলমাল হতে পারে? সদুত্তর এড়িয়ে টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরি বলেন, “কোথাও ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকলে আলোচনার মাধ্যমেই তা মিটিয়ে নিতে হবে। গড়বেতায় তেমন বড় কিছু হয়নি। সামান্য একটা ঘটনা ঘটেছে। তারপর প্রয়োজনীয় নির্দেশই দেওয়া হয়েছে। কেউ দলের নির্দেশ অমান্য করলে তখন উপযুক্ত পদক্ষেপই করা হবে।”
সোমবার দুপুরে টিএমসিপির দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে গড়বেতা কলেজ চত্বর। জখম হন দু’পক্ষের ছ’জন। স্থানীয় ছাত্র নেতা দেবরাজ রায়ের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে কমলাকান্ত ঘোষের। দলের অন্দরে কমলাকান্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতা অসীম সিংহের অনুগামী বলে পরিচিত। অন্য দিকে, দেবরাজ দলের ব্লক সভাপতি দিলীপ পালের অনুগামী বলে পরিচিত। গত বৃহস্পতিবার থেকে কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ভর্তি প্রক্রিয়া চলাকালীন ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে, মূলত সেই নিয়েই গোলমালের সূত্রপাত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy