Advertisement
E-Paper

পুলে তলিয়ে মৃত্যু ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার

বন্ধুর জন্মদিন পালনের অনুষ্ঠানে গিয়ে সুইমিংপুলের জলে তলিয়ে মৃত্যু হল এক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার তরুণের। রবিবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটেছে কোলাঘাট শহরের বিডিও অফিস সংলগ্ন সুইমিং পুলে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৫ ০০:৪৫
শুভ্রদীপ প্রধান। —নিজস্ব চিত্র।

শুভ্রদীপ প্রধান। —নিজস্ব চিত্র।

বন্ধুর জন্মদিন পালনের অনুষ্ঠানে গিয়ে সুইমিংপুলের জলে তলিয়ে মৃত্যু হল এক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার তরুণের। রবিবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটেছে কোলাঘাট শহরের বিডিও অফিস সংলগ্ন সুইমিং পুলে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম শুভ্রদীপ প্রধানের (১৯) বাড়ি মেচেদা এলাকার শান্তিপুর গ্রামে। কোলাঘাট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন শুভ্রদীপ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুভ্রদীপের বাবা কৃষ্ণেন্দু প্রধান ও মা বীণাপানি প্রধান দু’জনেই মেচেদার কাছে হাকোলা হাইস্কুলে শিক্ষকতা করেন। বাবা–মায়ের এক ছেলে শুভ্রদীপ কোলাঘাটে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়তেন। কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র হাইস্কুলে পড়ার সময় থেকে শুভ্রদীপের বন্ধু ছিল কোলাঘাটের পাইকপাড়ি এলাকার বাসিন্দা ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়। ভাস্কর বর্তমানে বারাসতে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়েন। রবিবারি ভাস্করের জন্মদিন পালনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তাঁর বাড়ি গিয়েছিলেন শুভ্রদীপ। দুপুরে শুভ্রদীপ ও বন্ধু ভাস্কর, তাঁর দাদা, ভাই, জেঠু মিলে বাড়ির কিছু দুরে কোলাঘাট বিডিও অফিস সংলগ্ন সুইমিং পুলে স্নান করতে এসেছিলেন। হঠাৎই পুলের মাঝমাঝি স্থানে শুভ্রদীপ তলিয়ে যান। স্থানীয় বাসিন্দা শান্তনু চৌধুরী বলেন, ‘‘ এদিন দুপুর পৌনে দুটো নাগাদ ওই ছাত্রের বন্ধু একজন জলে তলিয়ে যাওয়ার কথা বলে সাহায্য চাইছিলেন। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে খোঁজার পরে ওই ছাত্রকে উদ্ধার করা হয়।’’ এরপর শুভ্রদীপকে কোলাঘাট ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান।

শুভ্রদীপের বন্ধু ভাস্কর বলেন, ‘‘আমার ভাই ওকে উদ্ধারের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তার ফলে ভাইও তলিয়ে যাচ্ছিল। তাই ও ভয় পেয়ে উঠে আসে।’’ শুভ্রদীপের মাসি জয়শ্রী মালিকের অভিযোগ, ‘‘শুভ্রদীপ সাঁতার জানা সত্ত্বেও কীভাবে তলিয়ে গিয়ে মারা গেল বুঝতে পারছি না । আমরা চাই এই ঘটনার তদন্ত করা হোক।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘মাস দেড়েক আগে শুভ্রদীপের বাবাকে ফোন করে তিন লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছিল। টাকা না দেওয়া হলে শুভ্রদীপের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এ নিয়ে কোলাঘাট থানায় অভিযোগ জানানো হয়। আমাদের অনুমান এদিন শুভ্রদীপকে হয়ত পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।’’

পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘ওই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রজু করা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।’’

Student swimming pool tamluk police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy