প্রতীকী ছবি।
ভিন্ রাজ্য ফেরত এক ছাত্রের করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় খবর মিলল। মঙ্গলবার ওই ছাত্রকে জেলা স্বাস্থ্য দফতর পাঁশকুড়া বড়মা হাসপাতালে ভর্তি করে। পরিবারের লোকেদের হোম আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এগরা-২ ব্লকের মঞ্জুশ্রী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বছর বাইশের এক যুবক দিল্লিতে পড়াশুনা করেন। কয়েকদিন আগে তিনি দিল্লি থেকে গ্রামে ফিরে গৃহ নিভৃতাবাসে ছিলেন। তাঁর লালারসের নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছিল। সোমবার রাতে স্বাস্থ্য দফতরের থেকে ওই ছাত্রের করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট আসে। আক্রান্ত যুবকের মা ও বাবাকে গৃহ নিভৃতাবাসে রাখার পাশাপাশি তাঁদেরও লালারসের নমুনা সংগ্রহ করবে স্বাস্থ্য দফতর। এগরা-২ ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকান্ত মান্না বলেন, ‘‘আক্রান্ত ছাত্রকে বড়মা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। যুবকের সংস্পর্শে আসা পরিবারর দু’জনের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।’’
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, জেলায় ফিরে আসা প্রায় ৯ হাজার পরিযায়ী শ্রমিকের অনেকরই নিভৃতাবাসের মেয়াদ শেষের পথে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনও রকম করোনা উপসর্গ ছাড়া পরিযায়ীরা বাড়ি ফিরলে কিছুটা হলেও চিন্তামুক্ত হবে জেলা প্রশাসন। কিন্তু এ সব দেখে এখনই কোনও রকম ঢিলেমি দিতে চায় না জেলা স্বাস্থ্য দফতর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘এখনই আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই। আইসিএমআর এবং রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া নির্দেশিকা আমরা হুবহু মেনে চলার চেষ্টা করেছি। বড়মা হাসপাতাল যেখানে শুধুমাত্র করোনা আক্রান্তদেরই চিকিৎসা হয় সেখানে একজনও চিকিৎসক, নার্স কিংবা স্বাস্থ্যকর্মীর শরীরে সংক্রমণ ঘটেনি।’’
করোনাকে নির্মূল করতে দরকার লাগাতার পরীক্ষা। সে কথা মানছেন স্বাস্থ্য কর্তাও। মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘আমাদের জেলার করোনা পরীক্ষা হয় আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে। ল্যাবের ক্ষমতা অনুযায়ী আমাদের নমুনা পাঠাতে হয়। আমরা প্রতিদিনই নমুনা পাঠাচ্ছি। ভবিষ্যতেও তা চলবে।’’ উল্লেখ্য, জেলায় এখনও পর্যন্ত ১০ হাজারেরও বেশি করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে বলে জানাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy