Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪

ছাত্রাবাস থেকে নিখোঁজ ছাত্র

ছাত্রাবাস থেকে নিখোঁজ হওয়ার পাঁচ দিন পরেও সন্ধান মেলেনি সবংয়ের সতীশচন্দ্র সর্বাত্মসাধক শিক্ষাসদনের এক আবাসিক পড়ুয়ার। অষ্টম শ্রেণির ছাত্র রোহন মিদ্যা গত ৩০ জুন থেকে নিখোঁজ। ডেবরা থানার পাইকপাড়ি গ্রামের বাসিন্দা রোহন মাস ছয়েক আগেই দশগ্রামের ওই স্কুলে ভর্তি হয়েছিল।

রোহন মিদ্যা। — নিজস্ব চিত্র।

রোহন মিদ্যা। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৫ ০১:১০
Share: Save:

ছাত্রাবাস থেকে নিখোঁজ হওয়ার পাঁচ দিন পরেও সন্ধান মেলেনি সবংয়ের সতীশচন্দ্র সর্বাত্মসাধক শিক্ষাসদনের এক আবাসিক পড়ুয়ার। অষ্টম শ্রেণির ছাত্র রোহন মিদ্যা গত ৩০ জুন থেকে নিখোঁজ। ডেবরা থানার পাইকপাড়ি গ্রামের বাসিন্দা রোহন মাস ছয়েক আগেই দশগ্রামের ওই স্কুলে ভর্তি হয়েছিল।

১ জুন সবং থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেন ওই ছাত্রের বাবা রণজিৎ মিদ্যা। যোগাযোগ করেছেন চাইল্ড লাইনে, স্থানীয় কেবল নেটওয়ার্কেও বিজ্ঞাপন দিয়েছেন। কিন্তু ছেলের খোঁজ মেলেনি।

এরই মধ্যে রহস্য উস্কে দিয়েছে রোহনের হাতে লেখা একটি চিঠি। দিন কয়েক আগে স্কুল কর্তৃপক্ষ সেই চিঠি পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছেন। রণজিৎবাবু জানিয়েছেন চিঠিতে রোহন লিখেছে, তার ব্লাড ক্যান্সার হওয়ায় মুখ দিয়ে রক্ত বেরচ্ছে। তাই বাবা-মায়ের দুঃখের কথা ভেবে সে স্কুল ছাড়ছে। তাঁর অভিযোগ, ‘‘এ চিঠি কেউ জোর করে লিখিয়ে নিয়েছে আমার ছেলেকে দিয়ে। কোনও রকম অসুখ ছিল না রোহনের।’’ রবিবার এই চিঠি সবং থানায় জমা দিয়েছেন তিনি।

জানা গিয়েছে ৩০ জুন ভোরে প্রার্থনার আগেই নিখোঁজ হয়ে যায় রোহন। রণজিৎবাবুর দাবি, স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা এবং এক ছাত্রের অভিভাবক তাঁকে জানিয়েছিলেন রোহনের কাছে থাকা একটি আইপড নিয়ে গোলমালের জেরে তাকে মারধর করেছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তখন রোহনের মুখ দিয়ে রক্ত বেরতেও দেখেছেন তাঁরা। রণজিৎবাবু বলেন, ‘‘এটাই রহস্যজনক। চিঠিতেও মুখ থেকে রক্ত বেরনোর উল্লেখ রয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের নিশ্চয়ই কোনও গাফিলতি রয়েছে।’’

এ দিকে স্কুলের পক্ষ থেকেও পৃথক নিখোঁজ ডায়রি করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক যুগল প্রধান বলেন, ‘‘মারধরের অভিযোগ ঠিক নয়। আমরাও বুঝতে পারছি না আবাসনে রোহনের ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া ওই চিঠির অর্থ কী। রোহনের কোনও অসুখ ছিল না বলেই জানি।’’

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক বধূর। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পিংলা থানার পূর্ণ গ্রামে। মৃতার নাম রুমা চট্টোপাধ্যায় (৩২)। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, বাড়িতে আলো জ্বালাতে গিয়ে স্যুইচ বোর্ডে হাত দিলে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন বলে অভিযোগ। এর পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় ওই মহিলার। তবে ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মৃতদেহ ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Student IIT Kharagpur polilce Ruma Chatterjee
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE