আহত ছাত্রীরা সকলেই কেশপুরের দোগেছিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা স্কুলের ছাত্রী। নিজস্ব চিত্র।
মাদ্রাসা বোর্ডের মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে উল্টে গেল মারুতি গাড়ি। বৃহস্পতিবার কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত পাঁচখুরি এলাকায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে ৯ ছাত্রী আহত হয়েছে। আহতদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা গুরুতর বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। গুরুতর জখম দুই ছাত্রীর পরীক্ষানিরীক্ষা করা হচ্ছে। বাকিদের অবজারভেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।
আহত ছাত্রীরা সকলেই কেশপুরের দোগেছিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা স্কুলের ছাত্রী। বৃহস্পতিবার তাদের মাদ্রাসা বোর্ডের দশম শ্রেণির পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। আর সেই জন্যই মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত এলাইগঞ্জ হাই মাদ্রাসা স্কুলে পরীক্ষা দিতে এসেছিল ওই ছাত্রীরা। পরীক্ষা দিয়ে একটি মারুতি গাড়িতে আবার দোগেছিয়া ফিরছিল ৯ পরীক্ষার্থী। ফেরার পথে একটি সাইকেলকে বাঁচাতে গিয়ে উল্টে যায় তাদের মারুতি গাড়ি।
আহত এক ছাত্রী বলে, ‘‘একটি সাইকেলকে বাঁচাতে গিয়ে মারুতি গাড়িটি উল্টে যায়। তাতে আমাদের সকলের চোট লেগেছে।’’ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ সকলকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে দোগেছিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা স্কুলের শিক্ষক এবং আহতদের পরিবারের লোকজনও হাসপাতালে আসে।
স্কুলের শিক্ষক মহম্মদ জুলফিকার আলি মোল্লা বলেন, ‘‘কেশপুর থেকে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে একটি সাইকেলকে বাঁচাতে গিয়ে মারুতি উল্টে যায়। আহতদের সবাইকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা গুরুতর।’’
বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা পরীক্ষার্থীদের প্রথম ভাষার পরীক্ষা ছিল। শুক্রবার ছুটি থাকলেও শনিবার আবার পরীক্ষা রয়েছে। কিন্তু এই চোট নিয়ে তারা কী ভাবে পরীক্ষা দিতে যাবে, তা-ই এখন ভাবাচ্ছে আহত ছাত্রীদের।
ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বলেন, ‘‘কোতোয়ালি থানা এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।এক জন সাইকেল আরোহীকে বাঁচাতে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের নিয়ে যাওয়া একটি মারুতি গাড়ি উল্টে যায়। সকল পরীক্ষার্থীকে যথাসময়ে পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। ছ’জন পরীক্ষার্থীকে ইতিমধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি তিন জনকে আপাতত পর্যবেক্ষণে রয়েছে এবং তাদেরও শীঘ্রই ছেড়ে দেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy