পশ্চিম মেদিনীপুরে এ বার শুরু হচ্ছে সুফল বাংলার স্টল। কৃষি বিপণন দফতরের উদ্যোগে ওই স্টলে মিলবে ন্যায্য মূল্যে চাল, ডাল, শাক-সব্জি থেকে মাছ, মাংস, ডিমও।
কৃষি বিপণন দফতরে মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত জানান, জেলায় আপাতত পাঁচটি সুফল বাংলার স্টল হচ্ছে। পরে সংখ্যাটা আরও বাড়ানো হবে। কৃষি বিপণন দফতর সূত্রের খবর, নতুন বছরের গোড়াতেই মেদিনীপুর শহর, ঘাটাল, খড়্গপুর, ঝাড়গ্রাম এবং চন্দ্রকোনা রোডের বাসিন্দারা সুফল বাংলার সুযোগ পাবেন। মরসুমি শাক-সব্জি, হাঁস-মুরগির ডিম যেমন কিনতে পারবেন ক্রেতারা তেমনই খাসি, মুরগির মাংসও পাওয়া যাবে। মিলবে চাল, ডাল, সরষের তেল, দুগ্ধজাত সামগ্রীও।
আটশো থেকে হাজার বর্গফুটের ওই স্টল গুলিতে ফ্রিজিং সিস্টেম থাকবে। জেলা কৃষি বিপণন দফতরের আধিকারিক উত্তম হেমব্রম বলেন, “আমরা চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি বাজার মূল্যে শাক-সব্জি কিনব। কেনা হবে ডিম-ছাগল ও মুরগি কিনব। স্টলেই মাংস কাটার ব্যবস্থা থাকছে। উদ্বৃত্ত সামগ্রী বিজ্ঞানসম্মত ভাবে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হবে। তবে একদিনের বেশি নয়।’’ সে জন্য প্রথম চাহিদা অনুযায়ী পেঁয়াজ, আলু, সব্জি থেকে ডিম ও মাংস মজুত রাখা হবে। আর চাল, তেল-সহ অনান্য জিনিস বেশি করেই মজুত থাকবে।” সুফল বাংলার স্টল সকাল ৭টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এবং বিকেল ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
সূত্রের খবর, স্টল গুলি চালাবেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা। তবে নজরদারি করবে কৃষি বিপণন দফতর। জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর শহরের ডিএম অফিস চত্বরে আপাতত ওই স্টল চালু হবে। জনবহুল এলাকাগুলিকেই প্রাথমিক ভাবে বেছে নিয়েছে সরকার। তবে সরকারি জমির খোঁজও চলছে। ইতিমধ্যেই চন্দ্রকোনা রোডে সাতবাঁকুড়ায় একটি জায়গা চিহ্নিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। চলতি সপ্তাহেই ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম ও খড়্গপুরেও স্টলের জায়গা চিহ্নিত করতে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। দফতরের মন্ত্রীর কথায়, “চাষিরা যাতে ফড়েদের খপ্পড়ে না পড়েন। ক্রেতারা যাতে ন্যায্য মূল্যে সামগ্রী কিনতে পারেন, তার জন্যই এই উদ্যোগ।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy