অনুষ্ঠানে সাংসদ শিশির অধিকারী ও শুভেন্দু অধিকারী। —নিজস্ব চিত্র।
স্বাধীনতা আন্দোলনে মেদিনীপুরের ঐতিহ্য রক্ষা করতে অন্যায় কোনও কিছুর কাছে মাথা করব না বলে মন্তব্য করলেন তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। ১৯৪২ সালের ৯ অগস্ট ভারত ছাড় আন্দোলনের সূচনা দিবস স্মরণে রবিবার বিকেলে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া বাসস্ট্যান্ডে তৃণমূল কংগ্রেস আয়োজিত সভায় শুভেন্দুবাবু বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘‘ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে মেদিনীপুরের বিপ্লবীরা যে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছিলেন সেই ঐতিহ্যকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। আমরা ভালর পক্ষে থাকব। ন্যায়ের পথে থাকব। নিজেদের আত্মসম্মান, নিজেদের মর্যাদা বিক্রি করব না।’’
এদিন ভিড়ে ঠাসা সভায় শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘‘মেদিনীপুরের দেশপ্রাণ বীরেন্দ্রনাথ শাসমল আমাদের আত্মমর্যাদা রক্ষা করতে শিখিয়েছিলেন। কলকাতায় কংগ্রেসের অধিবেশনে বীরেন্দ্রনাথ শাসমলকে অপমান করা হয়েছি । তিনি তাঁর দুটো জুতো রেখে বেরিয়ে এসেছিলেন। তিনি মাথা নত করেননি। তিনি মেদিনীপুরে ট্যাক্স বন্ধ আন্দোলন করেছিলেন। যে আন্দোলন বাংলা সহ সারা ভারতবর্ষকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। আমরা সেই মেদিনীপুরের মানুষ। সেই ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে হবে।’’
নন্দীগ্রামের জমি রক্ষা আন্দোলনের গুরুত্ব তুলে ধরে শুভেন্দুবাবু এ দিন বলেন, ‘‘ স্বাধীনতা আন্দোলনে মেদিনীপুরের মানুষ ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে নন্দীগ্রামের জমি রক্ষার আন্দোলন যে আন্দোলন হয়েছে তাতে দলমত, ধর্মমত নির্বিশেষ মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে অত্যচারী সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। লড়াই করেছিল বলেই তাঁদের ভিটেমাটি রক্ষা হয়েছে। স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস পড়লে বোঝা যাবে নন্দীগ্রামের আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর মিল রয়েছে।’’
শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘‘আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলন যেমন হয়েছ । বাংলা দ্বিতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন হয়েছে। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তিন দশক ধরে সিপিএমের অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। ২০১১ সালের মে মাসে বাংলার মানুষ দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা পেয়েছেন। অত্যাচারী সিপিএম ও সাম্প্রদায়িক বিজেপিকে পরাস্ত করে সেই স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হবে। আগামী ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই জেলা থেকে বিপুল সমর্থন দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়যাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে।’’
এ দিন সভায় বক্তব্য রাখেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী, নন্দীগ্রামের বিধায়ক ফিরোজা বিবি, নন্দকুমারের বিধায়ক সুকুমার দে, তৃণমূল জেলা সহ-সভাপতি চিত্তরঞ্জন মাইতি প্রমুখ। সভায় ছিলেন বিধায়ক বনশ্রী মাইতি, সমরেশ দাস, অর্ধেন্দু মাইতি, ওমর আলি, পাঁশকুড়ার পুরপ্রধান জাকিউর খান, তমলুকের পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ সেন ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy