সৌম্যেন্দু অধিকারী। — ফাইল ছবি।
সারদা নথি লোপাট সংক্রান্ত মামলার তদন্তে আবারও কাঁথি থানায় ডেকে পাঠানো হল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই তথা কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌম্যেন্দু অধিকারীকে। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় তাঁকে থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। পুলিশের কথা মেনে বেলা ১২টা নাগাদই কাঁথি থানায় পৌঁছে যান সৌম্যেন্দু।
গত পরশু সৌম্যেন্দুকে এই মর্মে নোটিস পাঠিয়েছিল পুলিশ। সৌম্যেন্দুর আইনজীবী আগেই জানিয়েছিলেন, নোটিস পেয়ে অবশ্যই থানায় হাজিরা দেবেন সৌম্যেন্দু। এর আগেও দু’বার তাঁকে একই মামলায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল।
সূত্রের খবর, সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন কাঁথি পুরসভা এলাকায় একটি জমি কিনে তাতে আবাসন গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। সেই মর্মে পুরসভা থেকে জমি হস্তান্তরও করা হয়েছিল। পরবর্তী কালে সারদাকর্তা জেলে যাওয়ার পর সেই জমিকে পুরসভা আবর্জনা ফেলার জন্য ব্যবহার করে। তবে যে সময় সারদাকর্তার সঙ্গে পুরসভার চুক্তি হয়েছিল সেই সময় সৌম্যেন্দু চেয়ারম্যান ছিলেন না। পরবর্তী কালে সৌম্যেন্দু এবং তার পর আরও দু’জন পুর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলেছেন কাঁথি পুরসভায়।
সৌম্যেন্দুর আইনজীবী অনির্বাণ চক্রবর্তী আগেই বলেছিলেন, “শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশে শুভেন্দু অধিকারী এবং তাঁর পরিবারকে টার্গেট করা হচ্ছে। যে জমির চুক্তি সংক্রান্ত ফাইল লোপাটের অভিযোগ তোলা হচ্ছে পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে, সেই চেয়ারে আরও দু’জন বসেছিলেন পরবর্তী কালে। কিন্তু তাঁদের কাউকেই এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়নি।’’
অনির্বাণ আরও বলেন, “গত পরশু সৌমেন্দুকে ১৬০ ধারায় সাক্ষী হিসেবে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা ১২টায় তাঁকে কাঁথি থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। এ ভাবে শুধুমাত্র সৌমেন্দু অধিকারীকে কেন বারে বারে ডেকে পাঠানো হচ্ছে তা স্পষ্ট নয়। সৌমেন্দু থানায় গেলে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy