তৃণমূলের প্রতিবাদ সভা।
শ্রমিক-মালিক দু’পক্ষই অনড় থাকায় মানিকপাড়ার কাগজ কলে অচলাবস্থা কাটল না। সংগঠনের সদস্য চার শ্রমিককে পুনর্বহালের দাবিতে অনড় রয়েছে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র একটি গোষ্ঠী। এই পরিস্থিতিতে আজ, শুক্রবার মালিক-শ্রমিক পক্ষকে আলোচনায় ডেকেছেন ঝাড়গ্রামের সহকারী শ্রম কমিশনার তাপসকুমার দত্ত।
এ দিকে, বিশ্বকর্মা পুজোর আগে একটানা কারখানা বন্ধ থাকায় অথৈ জলে পড়েছেন শ্রমিকরা। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র দুই গোষ্ঠীর সাঁড়াশি চাপে দুর্গাপুজোর আগে বোনাস ও বকেয়া পাওয়া নিয়েও অনিশ্চিত শ্রমিকদের একাংশ।
বছর দু’য়েক আগে শাসকদলের শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে মালিক পক্ষের চুক্তি হয়েছিল। ওই কমিটির লোকজন বিধায়ক সুকুমার হাঁসদার গোষ্ঠীর লোক। কিন্তু গত জানুয়ারিতে সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনের নতুন কমিটি গঠন করেছেন অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ মন্ত্রী চূড়ামণি মাহাতোর গোষ্ঠীর লোকেরা। গত বুধবার মন্ত্রী-গোষ্ঠীর সংগঠনের সদস্য চার ঠিকা শ্রমিকের হাতে কারখানার ম্যানেজার নিগৃহীত হন বলে অভিযোগ। সময়মতো বেতন না মেলায় কাজ বন্ধ করে দেন একাংশ শ্রমিক। কারখানা কর্তৃপক্ষও হাজিরা অফিস বন্ধ করে দিয়ে চার ঠিকা শ্রমিককে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেন।
মন্ত্রী চূড়ামণি মাহাতোর অনুগামীদের নিয়ে গঠিত কারখানায় শাসকদলের শ্রমিক সংগঠনটিই বৈধ বলে দাবি করেছেন ঝাড়গ্রাম ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার সকালে ঝাড়গ্রাম ব্লক তৃণমূলের সভাপতি অনিল মণ্ডল এবং আইএনটিটিইউসি-র ঝাড়গ্রাম ব্লক সভাপতি রথীন্দ্রনাথ মাহাতোর নেতৃত্বে কারখানার সামনে একটি প্রতিবাদ সভা হয়। ওই সভায় অনিলবাবুরা স্পষ্টতই জানিয়ে দেন, কারখানায় আইএনটিটিইউসি-র একটিই সংগঠন। নতুন কমিটির সম্পাদক গৌরাঙ্গ মাহাতো। চার শ্রমিককে একতরফা বরখাস্তের করা যাবে না বলে জানিয়ে দেন তাঁরা।
আইএনটিটিইউসি-র ব্লক সভাপতি রথীন্দ্রনাথ মাহাতো বলেন, “চারজন ঠিকা শ্রমিককে সসম্মানে পুনর্বহাল করতে হবে।” কারখানার ম্যানেজার শিবশঙ্কর নন্দ বলেন, “মালিককে বিষয়টি জানিয়েছি।”
বিষয়টি নিয়ে শাসকদলের সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। মানিকপাড়ার কংগ্রেস নেতাদের কটাক্ষ, “পুজোর মুখে কারখানা বন্ধ করে তৃণমূলের নেতারা স্বার্থসিদ্ধির রাজনীতি করছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy