নন্দীগ্রাম- তেরপেখ্যা রুটে বাস চলাচল বন্ধ। ট্রেকারে বাদুরঝোলা হয়ে প্রাণ হাতে নিয়ে যাতায়াত করতে হয় পড়ুয়াদের। যে কোনও সময় ঘটে যেতে পারে বড় বিপদ। পড়ুয়াদের সুরক্ষার কথা ভেবে ওই রুটে বাস পরিষেবা চালুর জন্য পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে আবেদন জানালেন নন্দীগ্রামের আশদতলা বিনোদ বিদ্যাপীঠ ও আশদতলা কন্যা বিদ্যামঠের প্রধান শিক্ষকেরা।
নন্দীগ্রাম- তেরপেখ্যা রাস্তার ধারে আশদতলা গ্রামে রয়েছে এই দু’টি স্কুল। আগে এই রাস্তায় নিয়মিত বাসও চলাচল করত। ২০০৪ সালে রাস্তার টেঙ্গুয়া সেতু দিয়ে অতিরিক্ত মাল বোঝাই একটি লরি যাওয়ার সময় সেতুটি ভেঙে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় বাস চলাচল। ২০১৩ সালে টেঙ্গুয়ায় স্থায়ী সেতুর উদ্বোধন হয়েছে৷ সম্প্রতি ২ অক্টোবর নন্দীগ্রাম থেকে কলকাতা যাতায়াতের জন্য এসি বাস পরিষেবা চালু করেছেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী। যদিও ওই বাস পরিষেবা আর চালু হয়নি। এখন ওই পথে যাতায়াতের জন্য ভরসা ট্রেকার। ট্রেকারে অতিরিক্ত ভিড়ে গলদঘর্ম হয়েই যাতায়াত করতে হয়। দশম শ্রেণির ছাত্র দেবার্য দাস, সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী দেবাশ্রিতা মাইতি, পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র কুন্তল দাসরা বলে, ‘‘ট্রেকারে ঝুলে স্কুলে যেতে কষ্ট হয়। বাস পরিষেবা চালু হলে অন্তত জীবনের ঝুঁকি নিতে হবে না।’’
বিপদ এড়াতে বাস পরিষেবা চালুর জন্যই পরিবহণমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন ওই দুই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। আবেদনপত্রে আশদতলা কন্যা বিদ্যামঠের প্রধান শিক্ষিকা মঞ্জুরানি ঘোড়ই জানান, নন্দীগ্রাম ও তেরপেখ্যা দু’দিক থেকেই বহু ছাত্রছাত্রী এই দুই স্কুলে পড়াশোনা করতে আসে। বাস না চলায় তারা ট্রেকারে বাদুড়ঝোলা হয়ে প্রাণ হাতে নিয়ে যাতায়াত করে। যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। পড়ুয়াদের নিরাপত্তার জন্য সকাল ১০টা ও বিকেল সোওয়া চারটেয় নন্দীগ্রাম ও তেরপেখ্যা থেকে দু’টি স্পেশ্যাল বাস চালু করার আবেদন জানান তিনি। আশদতলা বিনোদ বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক আনন্দময় দেও বলেন, ‘‘স্পেশ্যাল বাস চালুর বিষয়ে পরিবহণমন্ত্রীর বিধায়ক কার্যালয়ে লিখিতভাবে আবেদন জানিয়েছি৷ আশা করছি, সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy