E-Paper

পারদ ছুঁল ৪৫ ডিগ্রি

অত্যাধিক তাপপ্রবাহের পাশাপাশি দুই জেলার কয়েকটি এলাকায় লু বয়েছে এদিন। জানা গিয়েছে, গত বছর দুই জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:৫১
2 Photographs representing hot summer

জলপান (বাঁ দিকে)। চড়া রোদে হাত পাখা বিক্রি করছে দুই খুদে (ডান দিকে)। ঝাড়গ্রাম শহরে। ছবি: দেবরাজ ঘোষ।

পারদ ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী।

বুধবার ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের তিনটি ব্লকে তাপমাত্রার পারদ ছুঁল ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস! যা গত বিশ বছরের রেকর্ড বলে জানাচ্ছেন আবহবিদরা। এতদিন তাপমাত্রা ৪১-৪৩ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল। কিন্তু এদিন দুপুর দু’টো নাগাদ ঝাড়গ্রামে তাপমাত্রার পারদ ৪৫ ডিগ্রিতে পৌঁছে যায়। বিকেল চারটে নাগাদ অবশ্য ঝাড়গ্রামে তাপমাত্রা নেমে আসে ৪৩ ডিগ্রিতে। তবে পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা, গোয়ালতোড় ও চন্দ্রকোনা রোড এলাকায় বিকেলেও তাপমাত্রার পারদ ৪৫ ডিগ্রিতেই ছিল।

অত্যাধিক তাপপ্রবাহের পাশাপাশি দুই জেলার কয়েকটি এলাকায় লু বয়েছে এদিন। জানা গিয়েছে, গত বছর দুই জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০২০ সালে করোনার বছরে সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৪৩ ডিগ্রি। ঝাড়গ্রাম জেলায় শেষ কালবৈশাখীর বৃষ্টি হয়েছিল ২ এপ্রিল। গড়বেতা, গোয়ালতোড়েও ওই দিন রাতে ঝড় ও ভারী বৃষ্টি হয়েছিল। তারপর থেকে ক্রমেই বাড়তে থাকে তাপমাত্রার পারদ।

মেদিনীপুরে আবার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, প্রখর রোদেই ভাজা যাচ্ছে ডিম! উনুন লাগছে না। ফেসবুকে ভিডিয়োটি দিয়েছেন শহরের সুরজিৎ পিড়ি। তাঁর বাড়ির খোলা ছাদে, তপ্ত রোদে, ফ্রাইং প্যানে ডিম ভাজার মুহূর্তের ভিডিয়ো সেটি। সুরজিতের দাবি, ‘‘ছাদে তপ্ত রোদেই ওই ডিম ভাজা হয়েছে।’’ কোনও রকম আগুনের ব্যবহার ছাড়াই তপ্ত রোদে ডিম ভাজা! শহরের অনেকে শোনাচ্ছেন, ‘‘রোদের যা তেজ, তাতে এটা অসম্ভব নয়।’’ মেদিনীপুরে পারদ ৪০ ডিগ্রি পার করেছে। প্যাচপ্যাচে, ভ্যাপসা গরমে হিমশিম সকলেই। বুধবার দিনের বেশিরভাগ সময়েই শহরে পারদ ছিল ৪২ ডিগ্রির আশেপাশে।

গত এক- দেড় সপ্তাহের মধ্যে বেশিরভাগ দিনই মেদিনীপুরে পারদ ৪০ ডিগ্রির আশেপাশে থেকেছে। কয়েকদিন ৪১- ৪২ ডিগ্রি পার করেছে। মঙ্গলবার যেমন এখানকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১.১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন ২৭.৮৬ ডিগ্রি। দিনের গড় তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৬৭ ডিগ্রি। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী বলেন, ‘‘দিনের বেলায় বাইরে বেরোলে মাথায় টুপি, চোখে রোদচশমা রাখতে হবে। নিয়মিত জল খেতে হবে।’’

জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, ‘‘আমরা সচেতনতামূলক প্রচার চালাচ্ছি।’’ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলছেন, ‘‘মানুষজনকে নানাভাবেই সতর্ক করছি। সচেতন করছি। বলছি, এই সময়ে বেশিক্ষণ ধরে রোদে না থাকাই ভাল।’’

চলতি মরসুমে‌ মেদিনীপুরের সবচেয়ে উষ্ণতম দিন ছিল বুধবার। এদিন এখানের‌ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২.৯২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।‌ গড় তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৩০ ডিগ্রি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.২৫ ডিগ্রি। সাম্প্রতিক কয়েক বছরের মধ্যে মেদিনীপুরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা শেষ কবে ৪৩ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই হয়েছে, মনে করতে পারছেন না অনেকেই।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

summer hot temperature Jhargram

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy