Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বহিষ্কার না শো-কজ, কোন্দল বিজেপিতে

বিক্ষুব্ধদের বহিষ্কার ঘিরে এ বার মতবিরোধ দেখা দিল বিজেপির অন্দরেই। রবিবার খড়্গপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে ১১ জন বিক্ষুব্ধকে বহিষ্কার করার কথা ঘোষণা করেছিলেন বিজেপির শহর সভাপতি প্রেমচাঁদ ঝা। সোমবার দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ অবশ্য জানালেন, ওই ১১ জনকে বহিষ্কার নয়, শো-কজ করা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৫ ০০:৪৮
Share: Save:

বিক্ষুব্ধদের বহিষ্কার ঘিরে এ বার মতবিরোধ দেখা দিল বিজেপির অন্দরেই। রবিবার খড়্গপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে ১১ জন বিক্ষুব্ধকে বহিষ্কার করার কথা ঘোষণা করেছিলেন বিজেপির শহর সভাপতি প্রেমচাঁদ ঝা। সোমবার দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ অবশ্য জানালেন, ওই ১১ জনকে বহিষ্কার নয়, শো-কজ করা হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে বিজেপির জেলা সভাপতি তুষার মুখোপাধ্যায়ের উপর দায় চাপিয়েছেন শহর সভাপতি প্রেমচাঁদ। তাঁর দাবি, ‘‘জেলা সভাপতির নির্দেশেই সব কিছু করা হয়েছে। বহিষ্কৃতদের নামের তালিকায় জেলা সভাপতির সইও রয়েছে। রাহুল সিংহ জানতে চাইলে আমি সে কথাই জানাব।’’ আর তুষারবাবুর বক্তব্য, ‘‘আমাকে বলা হয়েছিল ১১ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমার বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে এমনটা করা হবে ভাবিনি।’’ বহিষ্কৃতের তালিকায় প্রথমেই নাম ছিল জেলা মজদুর মোর্চার সাধারণ সম্পাদক শৈলেশ শুক্লর। রাজ্য কমিটির নির্দেশ ছাড়া এই বহিষ্কার অনৈতিক বলে দাবি শৈলেশেরও। বিষয়টি নিয়ে মানহানির মামলা করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।

এ বার খড়্গপুরে পুরভোটের প্রার্থী তালিকা নিয়ে প্রকাশের পরই বিজেপির কোন্দল প্রকাশ্যে আসে। শুরু হয় রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ, রাজ্য সভাপতির কুশপুতুলও পোড়ানো হয়। পুরনো কর্মীরা প্রার্থী হতে না পেরে অভিযোগ তোলেন, অর্থের বিনিময়ে প্রার্থিপদ দেওয়া হয়েছে। ওই বিক্ষুব্ধদের একাংশ আবার নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেন। এই পরিস্থিতিতে বিক্ষুব্ধদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পথে হাঁটেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। বিক্ষুব্ধদের শনাক্ত করা শুরু করে দলের শহর কমিটি। এর পরেই রবিবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে দলের বিভিন্ন পদে থাকা ১১জন বিক্ষুব্ধকে দলবিরোধী কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে ৬ বছরের জন্য বহিষ্কার করার কথা জানান প্রেমচাঁদ। তারপরই এ দিন ওই বহিষ্কার নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সোমবার শৈলেশ বলেন, ‘‘আমাদের দলের নির্দেশিকার ২৩ নম্বর পাতায় লেখা রয়েছে, কাউকে বহিষ্কার করতে গেলে উপযুক্ত প্রমাণ-সহ বহিষ্কার করতে হয়। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেনি শহর কমিটি। আমি দলের শ্রমিক সংগঠনের জেলা সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় একমাত্র রাজ্য সভাপতি আমাকে বহিষ্কার করতে পারেন।’’

বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ এ দিন বলেন, ‘‘ওই ১১ জন শো-কজের জবাব দিলে দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি পরবর্তী পদক্ষেপ করবে।’’ দলের খড়্গপুর শহর সভাপতি প্রেমচাঁদ যদিও দাবি করেন, ‘‘জেলার নির্দেশেই সকলকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ওই তালিকায় তুষার মুখোপাধ্যায় নিজে সই করেছেন। এখন উল্টো কথা বলা ঠিক নয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE