ড্রোন উড়িয়ে, ম্যাপ হাতে হেঁটে নয়াচরে ঘুরলেন সেখানে যাওয়া সরকারি প্রতিনিধি দল। দ্বীপের বেশিরভাগ জায়গাতেই হাঁটা ছাড়া অন্য উপায় নেই। যদি প্রতিনিধি দলের ঘোরাফেরার জন্য বেশ কিছু জায়গায় আগে থেকেই বাইক রাখা ছিল। যদিও বাদূরের কথা, হেঁটেও যাওয়া গেল না চরের বেশ কিছু জায়গায়। সেখানে নেওয়া হল ড্রোনের সাহায্য। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের এইও কিশোর বিশ্বাস ও জেলা প্রকল্প আধিকারিক বুদ্ধদেব বাগ, সুতাহাটার বিডিও আসিফ আনসারি সহ অন্যান্য আধিকারিকরা এদিন ঘুরলেন নয়াচরে।
নবান্নের নির্দেশে সম্প্রতি নয়াচরে এসেছিলেন রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব অত্রি ভট্টাচার্য। তিনি এখান খেকে যাওয়ার পরেই তৎপরতা শুরু হয় জেলা প্রশাসনে। এতদিন ধরে এই দ্বীপ নিয়ে কার্যত উদাসীন ছিল জেলা প্রশাসন। সম্প্রতি দ্বীপে বসবাসকারীদের আইনি পরিষেবা দিতেই গিয়ে তাঁদের কষ্টের কথা শুনেছিলেন বিচারকরা। সমবায়ের সাথে যুক্ত মাছ চাষিরা বারবার জেলা প্রশাসনের সাহায্য চাইলেও তাদের শোনা হয়নি বলেও অভিযোগ ওঠে। মীনদ্বীপে নামমাত্র থানা থাকলেও নেই স্বাস্থ্যকেন্দ্র, স্কুল। এমনকী গোটা দ্বীপের সঠিক মানচিত্র পর্যন্ত মেলেনি প্রশাসনের কাছে। এ দিন তাই সমীক্ষার কাজে অন্যতম ভরসা ছিল
গুগল ম্যাপ।
দ্বীপবাসীর মূলত জীবীকা মাছ চাষ। কিন্তু লাঠি যার ভেড়ি তার এমন নিয়মই দ্বীপে এতদিনধরে চলে আসছে বলে অভিযোগ। যার জেরে মাছ চাষ থেকে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকেও বঞ্চিত হতে বচ্জ়ছে রাজ্য সরকাররকে। অতিরিক্ত মুখ্যসচিব ঘুরে যাওয়ার পরেই শুরু হয় নয়াচরকে ঘিরে সরকারি ভাবনা-চিন্তা। এখানে বিভিন্ন পরিকাঠানো তৈরি করে উন্নয়নের সম্ভাবনা খতিয় দেখতে তৈরি হয় ‘টিম নয়াচর’। এদিন সেই দলই দুদিনের সফরে এসে পৌঁছয় নয়াচরে।