কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার স্থায়ী ঠিকানা গড়ে উঠতে চলেছে মেদিনীপুর শহরে। ‘সাবসিডিয়ারি ইন্টেলিজেন্স বুরো’ বা ‘এসআইবি’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন। সূত্রের খবর, সম্প্রতি সংস্থার এক কর্তা মেদিনীপুরে এসেছিলেন। যেখানে সংস্থার স্থায়ী অফিস গড়ে উঠবে, সে এলাকা ঘুরে দেখেছেন তিনি।
রাজ্য গোয়েন্দা দফতর বা আইবি’র ‘লোকাল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট’ (এলআইইউ) রয়েছে জেলায়। জেলায় ‘এসআইবি’রও ইউনিট রয়েছে। মেদিনীপুর শহরের বার্জটাউনে ভাড়া বাড়িতে এখন সে অফিস রয়েছে। এ বার সংস্থার ‘অফিস কাম রেসিডেন্স’ (ওসিআর) কমপ্লেক্স তৈরি হতে চলেছে। শরৎপল্লির নরমপুর মৌজায় এ জন্য রাজ্য সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় পরিমাণ জমিও কিনেছে তারা।
কোথাও দেশবিরোধী কার্যকলাপ হচ্ছে কি না, কোথাও রাজনৈতিক গোলমালের আশঙ্কা রয়েছে কি না, গোপনে মূলত এই সব তথ্য সংগ্রহ এই সংস্থার কাজ। তাদের জোগাড় করা খবরের (ইন্টেলিজ়েন্স ইনপুট) ভিত্তিতে নানা পদক্ষেপ করা হয়। রাজনৈতিক দলের নেতা, জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রেও এই ‘ইনপুট’-এর ভূমিকা থাকে। রাজ্যে ওই সংস্থার সদর দফতর রয়েছে কলকাতার গড়িয়াহাটে।
মেদিনীপুরে স্থায়ী অফিসের প্রয়োজন পড়ল কেন? সূত্রের খবর, মেদিনীপুর শহরে ওই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার স্থায়ী ঠিকানা গড়ে উঠলে সিবিআই, ইডি, এনআইএ-র মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থারও সুবিধা হতে পারে। প্রয়োজনে, ‘এসআইবি’-কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে তারা এই কমপ্লেক্স ব্যবহার করতে পারে। সে ক্ষেত্রে তদন্তে, জিজ্ঞাসাবাদে অনেক সুবিধা হবে। এখন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামলায় অভিযুক্তদের নোটিস দিয়ে কখনও ডেকে পাঠানো হয় কলকাতায়, কখনও বা হয় অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসে। স্থায়ী কার্যালয় হলে সুবিধা হবে।
পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের বেশ কয়েকটি মামলার তদন্তের দায়িত্বে রয়েছে সিবিআই। কোনওটা ‘গণহত্যার’ মামলা, কোনওটা ‘খুনের’ মামলা। ২০২১-এর বিধানসভা ‘ভোট পরবর্তী হিংসার’ পর্বে খুন ও ধর্ষণের মামলাগুলির তদন্তভারও সিবিআইকে দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট।
সূত্রের খবর, যে জমিতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার স্থায়ী ঠিকানা গড়ে উঠবে, সেটি শীঘ্রই সীমানা পাঁচিল দিয়ে ঘেরা হবে। কাজটি করবে কেন্দ্রীয় পূর্ত বিভাগ (সিপিডব্লুডি)। ‘এসআইবি’র এক আধিকারিকের দাবি, ‘‘এ ব্যাপারে যা পদক্ষেপ করার কর্তৃপক্ষ করছেন।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)