Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

আক্রোশের বশেই খুন মেকআপ শিল্পী

গত ২৩ জানুয়ারি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল হলদিয়ার দুর্গাচকে বাসিন্দা অসিতের। আদতে কলকাতার বাসিন্দা অসিত কর্মসূত্রে হলদিয়ায় থাকতেন। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি হলদিয়ার টাউনশীপের বাসিন্দা শান্তনুকে গ্রেফতার করেছিল দুর্গাচক থানার পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হলদিয়া শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:১৪
Share: Save:

বন্ধুর সঙ্গে চুম্বনরত ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করেছিল। সেই ‘আক্রোশে’ খুন করা হয়েছিল হলদিয়ার মেক আপ কর্মী অসিত মিত্রকে (৩৪)। অন্তত তেমনই জানাচ্ছেন ঘটনার তদন্তকারী আধিকারীকেরা। তাঁদের দাবি, অসিতকে খুনের অভিযোগে ধৃত শান্তনু অধিকারী জেরায় ওই তথ্যই দিয়েছে।

গত ২৩ জানুয়ারি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল হলদিয়ার দুর্গাচকে বাসিন্দা অসিতের। আদতে কলকাতার বাসিন্দা অসিত কর্মসূত্রে হলদিয়ায় থাকতেন। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি হলদিয়ার টাউনশীপের বাসিন্দা শান্তনুকে গ্রেফতার করেছিল দুর্গাচক থানার পুলিশ। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে চার দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় ধৃত শান্তনু গলায় ফাঁস লাগিয়ে বন্ধু অসিতকে খুন করার কথা স্বীকার করেছে। সোমবার এক তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন, শান্তনু জেরায় দাবি করেছে, গত ২০১৪ সালে অসিত তাকে চুমু খাওয়ার একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছিল। তাতে আপত্তি করেছিল শান্তনু। কিন্তু তা সত্ত্বেও অসিত ওই ছবি মুছে দেয়নি বলে অভিযোগ। এর জেরে শান্তনুকে লোকে সমকামী বলে বিদ্রুপ করত বলে অভিযোগ। তার জন্য অসিতের উপর রেগে ছিল শান্তনু। সেই আক্রোশবশতই সে অসিতকে খুন করেছে বলে পুলিশকে জানিয়েছে।

অসিত খুনের ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত রয়েছে কি না, সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি বলে তদন্তকারীদের দাবি। তবে জানা গিয়েছে, গত ২৩ জানুয়ারি অসিত এবং শান্তনুর সঙ্গে এক মহিলাও ছিল। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পারিজাত বিশ্বাস বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত চলছে। খুনের পিছনে আর কী কারণ রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

murder Crime Grudge Make Up artist
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE